76 বার পঠিত
ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নারী, শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও আটজন।
মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদরের শুখানপুকুরী এলাকায় দুজন এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদরের শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের দুলাল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৫), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির ইসলাম (১৪) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩)।
বজ্রপাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আহতরা হলেন- গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক (১৫), একই ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর ছেলে ফরিদ (১৫) এবং গৃহবধু ফজিলা বেগম (৩৫)।
অপরদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বজ্রপাতে আহতরা হলেন- আমজানখোর ইউনিয়নের ৭ বছর বয়সী শিশু রুমান, ১৩ বছর বয়সী কিশোর রানা, ১০ বছর বয়সী শিশু সাকিবুল, ফুলতলা গ্রামের আট বছর বয়সী শিশু ফয়সাল, উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৪৫)।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে বিকালে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টিপাতের সময় গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ভুল্লী নদীতে আরিফুল ইসলাম, মনির ইসলামসহ পাঁচজন গোসল করতে নামে। হঠাৎ বজ্রপাতে আরিফুল ইসলাম ও মনিরের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া ফারুক, ফরিদ ও গৃহবধু ফজিলা বেগম আহত। আহতদের ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির বলেন, বাড়ির বাইরে আতাউরসহ পাঁচ-ছয়জন বসে ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে আতাউর, রুমান, রানা, সাকিবুল, ফয়সাল আহত হয়। তাদেরকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য রওনা হন। পথে আতাউরের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে পাশের উদয়পুরে মাঠ থেকে গরু আনতে নিয়ে বজ্রপাতে আহত হন গৃহবধু মঞ্জুয়ারা। আহত সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।