84 বার পঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ১২ কিমি নোনার খাল খনন করায় কৃষকের চাষাবাদে কৃষিতে নতুন করে সংযুক্ত হলো ১১শ হেক্টর কৃষিজমি। হরিপুর উপজেলার যাদুরানী ব্রিজ থেকে দনগাঁও ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার নোনার খালের খননের কাজ গত জুন মাসে শেষ হয়েছে।
এতে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে বরেন্দ্র অফিস সূত্রে জানা গেছে। নোনার খাল সংস্কার ও খননের ফলে পানির প্রবাহ এবং কৃষক চলতি রোপা আমন মৌসুমে বিনামূল্যে পাচ্ছেন সেচ সুবিধা।
এ নিয়ে ওই এলাকার কেনেলের দুই ধারে প্রায় ৫০ বছর ধরে অনাবাদি ৮ হাজার বিঘা কৃষিজমি কৃষিতে নতুন করে সংযুক্ত হলো। জেলেরাও স্বপ্ন বুনছেন নোনার বুকে হরেক রকম দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার।
জেলে কালু মিঞা বলেন, একসময় এই নোনায় বারো মাসেই নদের মতো পানির প্রবাহ থাকত। আমরা নৌকা ও কলার ভেলায় চরে জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ ধরতাম। বর্ষাকালে চারদিকে পানি থইথই করত। কিন্তু কালের প্রবাহে আজ সবই বিলুপ্তির পথে। নদ ও নোনার বুকে পড়েছে চর। দীর্ঘদিন পর হলেও নোনার খাল খনন করার কারণে আমরা অনেক খুশি।
কৃষক আনিসুর বলেন, বর্ষাকালে নোনায় অতিরিক্ত পানি থাকার কারণে শতশত বিঘা জমি অনাবাদি থাকত, এতে আমরা রোপা আমনের চাষ করতে পারতাম না। দেরিতে হলেও নোনার খাল খনন হওয়ার কারণে এবার আমরা কেনেলের দুই ধারের জমিগুলোতে রোপা আমনের আবাদ করেছি। এখন কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
হরিপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল বলেন, কৃষি খাতে উন্নয়ন ও সেচ ব্যবস্থা কৃষকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং মৎস্য চাষের সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে সরকারিভাবে আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে এ উপজেলার যাদুরানী ব্রিজ থেকে দনগাঁও ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার নোনার খাল ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়েছে। এতে ওই এলাকার কৃষক কেনেলের দুই ধারে অনাবাদি ১১শ হেক্টর জমি কৃষিকাজের সুবিধা ভোগ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হোসেন কালবেলাকে বলেন, নোনার খাল সংস্কার ও খননের ফলে কৃষিজমি জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেল এবং কৃষক একধাপ এগিয়ে গেলেন।