ঝালকাঠি প্রতিনিধি> ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সবগুলো টিউবওয়েল বিকল হয়ে পড়ে আছে। ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতালটির পানি সরবরাহের পাম্পটিও নষ্ট হাওয়ায় সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজ ও তৃষ্ণা মেটাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পরছে। অথচ কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোন খেয়ার নেই বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের। জরুরী বিভাগের কর্মরত স্টাফ ও নার্সরা জানায়, তারা চাঁদকাঠি চৌমাথা ও গুরুধাম মসজিদের টিউবওয়েল থেকে পানি এনে পান করছে।
রোগীর স্বজন চামটা এলাকার হাসিনা বেগম , বেশাইনখান এলাকার শ্যামল, ও চরভাটারাকান্দার লিয়া আক্তার বলেন, হাসপাতালের কোথাও বিন্দুমাত্র পানির ব্যবস্থা নেই। আমরা পানির তৃষ্ণায় ছটফট করছি। হাসপাতালের বাহিরে মসজিদের পাশে একটি টিউবওয়েল থেকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় বা কিনে পানি খেতে হয়। একটি সরকারি হাসপাতালে এভাবে সকল টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দেখার কেহ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালে দুই পাশে দুইটি ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পাশে একটি টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতালে পানি তোলার বৈদ্যুতিক পাম্প মেশিনটিও নষ্ট। এছাড়াও হাসপাতালে ছোট ছোট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো থাকলেও সেগুলো সবগুলো অচল থাকার কারণে তা কোন কাজে আসছে না রোগীদের।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত স্টাফ ও নার্সরা বলেন, এখানে টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে অনেক দিন। তাই কোন খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। আমরা বাসা থেকে পানি নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সরবরাহ লাইনেও পানি নেই।
টিউবওয়েল নষ্টের বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সমরজিৎ সিং বলেন, তিনটি টিউবওয়েলই সচল করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সমস্যা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। আমি আপনার মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঠিক করার জন্য লোক পাঠাচ্ছি।
পানির পাম্প নষ্টের বিষয়ে ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহামুদ হাসান শাওন বলেন, পানির পাম্প ও তার পুড়ে গেছে আমরা সারাদিন সচল করার জন্য চেষ্টা করছি। নুতন একটি পাম্প বসিয়েছিলাম তাতেও কাজ হচ্ছে না। অন্য আরেকটি পাম্প নিয়ে এসেছি রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই পানির সমস্যা দূর করতে পারব।
পানি সংকটের বিষয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সমস্যা হওয়ার সাথে সাথে গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT