1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
ঝালকাঠির আমড়া রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বাহিরেও - দৈনিক দেশেরকথা
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর গ্রেফতার বেরোবিতে ”ক্লিন ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস” শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত  বিএনপির সভাপতির আমন্ত্রণে আমুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতি সভায় অতিথি! নতুন আইজিপি বাহারুল,ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত রাজাপুরে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  গলাচিপায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ,নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান,এলাকায় উত্তেজনা জুলাই গণহত্যার সুপ্রিম কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক পুলিশপ্রধান অটো রিক্সার বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো জাবি শিক্ষার্থীর প্রাণ প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো আপত্তি নেই: প্রধান উপদেষ্টা

ঝালকাঠির আমড়া রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বাহিরেও

মোঃ খলিলুর রহমান মনির
  • প্রকাশ বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

 99 বার পঠিত

ঝালকাঠির পেয়ারার সুখ্যাতি বহুদিন আগের। এবার যোগ হলো আমড়ার নাম। জেলার ২ শতাধিক গ্রামে আমড়া গাছ লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঝালকাঠির চাষিরা। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও যাচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া, দাবি আমড়া চাষিদের।

ঝালকাঠি শহরতলির কীর্তিপাশা মোড় থেকে দুটি যাত্রীবাহী বাসের বাংকারে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক বস্তা আমড়া চট্টগ্রাম হয়ে নৌপথে যাচ্ছে বিদেশে। ভীমরুলি, শতদশকাঠি, খেজুরা, আতাকাঠিসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে এখন আমড়া চাষ হয়। অন্য জেলার আমড়ার তুলনায় মিষ্টি হওয়ায় এই জেলার আমড়ার চাহিদা বাড়ছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ৬০০ হেক্টর জমিতে আমড়া চাষ করা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি প্রায় ১২ টন আমড়া পাওয়া গেছে। অর্থকরী ফসল হওয়ায় কৃষকরা আমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতি বছর ফলনও বাড়ছে।’

ঝালকাঠির কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলির চাষি রিপন চৌধুরী। ২০১৭ সালে ১০ কাঠা জমি লিজ নিয়ে আমড়া গাছ লাগান তিনি। জানালেন, এবার প্রায় ৫০ মণের বেশি আমড়া বিক্রি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস আমড়ার ভরা মৌসুম। তাই ওই সময়ে দামও ভালো থাকে। কিছু গাছে সারা বছর আমড়া ধরে।’ আফসোস করে তিনি বলেন, ‘কুড়িয়ানা, আটঘর, ভীমরুলি, ডুমুরিয়া, বেতরায় বিপুল পরিমাণ আমড়া হয়। তবে সেসব সংগ্রহের মতো পর্যাপ্ত ব্যবসায়ী ও আড়তদারের অভাব রয়েছে। তৃণমূলে, অর্থাৎ বাগান থেকে সংগ্রহ করা আমড়া প্রথমদিকে ৩০০-৩৫০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। সেটা এখন সাড়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার কাছাকাছি। পেয়ারার মতো দ্রুত পচনশীল নয় বিধায় আমড়া চাষে লাভ বেশি।’

নৌকায় করে ভীমরুলি ভাসমান হাটে আমড়া নিয়ে যাচ্ছিলেন চাষি মলয় হালদার। তিনি বলেন, ‘ঝালকাঠির আমড়া ভীমরুলি থেকে যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে। এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে। গুণ-মান ভালো বলেই এখানকার আমড়ার চাহিদা আছে সারাদেশে। যারা আমড়া কেনেন, সবাই চান এ অঞ্চলের আমড়া কিনতে।’ তবে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের আরও সহযোগিতা দাবি করেছেন মলয় হালদার।

আমড়া চাষের রয়েছে নানা সমস্যাও। বর্ষা মৌসুমে এক ধরনের লেদাপোকা পাতা খেয়ে গাছকে করে ফেলে পাতাশূন্য। এতে আমড়ার ক্ষতি হয়। যদিও চাষিরা কীটনাশকমুক্ত আমড়া চাষে আগ্রহী, তবু এসব পোকা দমনে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তা প্রয়োজন চাষিদের। অনেক সময় তাদের সাড়া পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

ভীমরুলিতে আড়ত আছে ছোট-বড় মিলিয়ে ডজনখানেক। সবাই মূলত পেয়ারা কেনেন। তবে পেয়ারার শেষ সময়ে শুরু হয় আমড়ার ভরা মৌসুম। সেজন্য আড়তদাররা থেকে যান। চলে আমড়া বিকিকিনির হাঁকডাক। বর্তমানে আমড়া বিক্রি হচ্ছে আটঘর, পিরোজপুরের কুরিয়ানাসহ ঝালকাঠির ভীমরুলির ভাসমান বাজারে। সবচেয়ে বড় ভাসমান বাজার ভীমরুলি। এখানকার জৌলুসই আলাদা। সকাল ৮টার মধ্যে বাজার বসে, বেচাকেনা চলে দুপুর পর্যন্ত। ছোট ডিঙি বা নৌকায় করে চাষি-বাগানিরা সেখানে হাজির হন। ট্রাক বা ট্রলারে করে আড়তদাররা সেসব কিনে নেন। পুরো আশ্বিন-কার্তিক মাসজুড়েই এসব হাট জমজমাট থাকবে। তবে পেয়ারার হাটের মতো গমগমে হবে না।

ভীমরুলির আড়তদার লিটন বলেন, ‘শ্রাবণ মাস শেষ হলেই আমড়ার ভরা মৌসুম। প্রতিদিন ৫০-৬০ মণ আমড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর যাচ্ছে বস্তা ভরে। দাম মণপ্রতি ৬০০-৮০০ টাকার মধ্যে।’ আড়তদাররা জানান, চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে করে কাঁচা আমড়া ও প্রক্রিয়াজাত আমড়া ভারত ও আশপাশের দেশে যাচ্ছে। এ ছাড়া গত বছর থেকে এ অঞ্চলের আমড়া লন্ডনেও রপ্তানি হচ্ছে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. টিএম মেহেদী হাসান সানি বলেন, ‘আমড়ায় আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসসহ আনেক পুষ্টিগুণ। আঁশ থাকায় আমড়া হজমে সহায়তা করে। তাই মৌসুমে নিয়মিত আমড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কাঁচা তো বটেই, সরষে মাখা দিয়ে, রান্না করে ও মোরব্বা করেও আমড়া খাওয়া যায়।’

কৃষকদের প্রত্যাশা, সরকারিভাবে যদি সরাসরি আমড়া কেনা হয়, বড় ব্যবসায়ীরা যদি সেখান থেকে সরাসরি আমড়া নিয়ে যান, তাহলে আমড়ার ব্যবসাটা আরও বাড়তো। বিদেশে রপ্তানিও বাড়তো।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park