93 বার পঠিত
ঝালকাঠি সংবাদদাতা> ঝালকাঠিতে মধ্যে রাত থেকে বৃষ্টি। সকাল থেকে কোথায়ও সূর্যের দেখামেলেনি কুয়াশায় ছিলো ঢাকা। তীব্র শীতের জনজীবনে দুর্ভোগ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কোথায়ও সূর্যের দেখামিলেনি। আকাশ মেঘলা কুয়াশায় ঢাকা সারাদিনে সূর্যের দেখা নেই। মধ্যে রাত থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ছিলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এর ফলে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীত আর বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
ঘনকুয়াশা থাকার কারণে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমেগেছে। অনেক জায়গায় মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে।
অটোরিকশা চালক আল-আমিন বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি পড়ায় ও সূর্য না ওঠায় শীতের তীব্রতা বেরে গেছে। সকালে উঠছিলাম অটোরিকশা নিয়ে বের হবো রাস্তায়। বৃষ্টি আর ঘনকুয়াশা থাকার কারণে বের হয়নি এতে রাস্তায় মানুষ পাবো না শুধু শুধু শীতে কষ্ট করতে হবে। আজকে মনে হয় সারাদিনে বেশি একটা টাকা আয় করতে পারবো না। বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে আমার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর মো. কামাল হাওলাদার বলেন, সকালে বৃষ্টি আর ঘনকুয়াশা থাকায় কাজে যাইনি। যে ঠান্ডা পরে মেঘলা বৃষ্টি পরে সূর্যের দেখা নাই এতে কাজে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবো। আবার কাজে যেতে না পারলেও সংসার চালাতে কষ্ট হয়। আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন কাজ করতে না পারলে পরদিন চলতে খুব কষ্ট হয়। বর্তমানে বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে এরকম চলতে থাকলে যারা আমাগো মতো যারা দিনমজুর তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হবে। না খেয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে বুধবার মধ্যে রাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারো। বরিশালে আজ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২২. ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ১৬. ডিগ্রি সেলসিয়াস।