1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
ঝালকাঠিতে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা। - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

ঝালকাঠিতে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা।

মোঃ খলিলুর রহমান মনির
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪

 85 বার পঠিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি> আষাঢ়ের শেষের দিকে খাল-বিল, নদী-নালাসহ চারদিকে পানিতে টইটুম্বুর থাকে। এ সময় দেশীয় মাছের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। বৈশাখ মাসের নতুন পানিতে সাধারণত মাছের বংশ বৃদ্ধি হয়। দেশীয় মাছের স্বাদ নিতে গ্রামের খালে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে চাই-বুছনা (এক ধরনের মাছ ধরার ফাঁদ) পেতে মাছ ধরেন গ্রামের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। তাই চাহিদার জোগান দিতে এবং মৌসুমি আয়ে চাই-বুছনা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

সরই গ্রামের কারিগর দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাঘ মাসে চোখের দৃষ্টিতে অনুমান করে ১২০ থেকে দেড়শ টাকায় প্রতিটি বাঁশ কিনতে হয়। এরপর বাঁশ আকারমতো কেঁটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে শলা তৈরি করা হয়। প্রতি সপ্তাহের ৩ দিন বাঁশ থেকে শলা তৈরি করি। বাকি ৪ দিন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিটি বুছনা তৈরিতে ২২০ থেকে ২৫০টি শলা লাগে। একটি ভালো বাঁশ থেকে ৩টি বুছনা তৈরি করা যায়। মাঘ মাস থেকে এ কাজ শুরু করেছি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত চলবে। আমাকে সহযোগিতা করছে ভাই জালাল, স্ত্রী নাজমা, ছেলে নাজমুল, মেয়ে মীম, মা নুরবানু ও বাবা সুলতান শেখ। মূলধনের অভাবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রতি বছরই কাজ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একেকটি বুছনা বিক্রি করি ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ঝালকাঠি পুরাতন স্টেডিয়াম মোড়ে প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে ৬০টি বুছনা নিয়ে বিক্রি করি। আমার কাছ থেকে অন্যরা পাইকারি কিনে নেন। সংসারের খরচ, বাবা-মায়ের চিকিৎসা খরচ, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ এবং ঋণ শোধ করে সব মিলিয়ে বছরের আয়-ব্যয় সমান সমান থাকে। সরকারি সহায়তায় সহজ শর্তে এবং বিনা সুদে ঋণ পেলে একটু ভালোভাবে জীবন কাটানোর আশা করছি।’

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরণ ও সরই গ্রাম পানের জন্য বিখ্যাত। এলাকার পান চাষিদের পাশাপাশি অন্য পেশার এবং শ্রমজীবী লোকজনও পিছিয়ে নেই কোনো ক্ষেত্রে। তাদের প্রচেষ্টা চলছে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে। মৌসুমি কাজ হিসেবে চাই-বুছনা ও জাল বুনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। কেবল ঘরের কর্তা নন, বুনন কাজে সহযোগিতা করছেন স্ত্রী, সন্তান, ভাই, মা ও বাবা। তাদের সহযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে যায় বুনন কাজ।

চাই-বুছনা জেলার এক হাট থেকে অন্য হাটে নৌ ও সড়ক পথে সরবরাহ করেন কারিগররা। চলতি মৌসুমে বুনন ও বিক্রয় কাজেই ব্যস্ত থাকেন তারা। নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘দেলোয়ারের কার্যক্রম কুটির শিল্পের আওতায় পড়ে। আর্থিক সমস্যার কারণে জেগে উঠতে পারছে না। সহায়তা পেলে স্বচ্ছল হতে পারতো।’

ঝালকাঠি বিসিকের সহকারী মনিটরিং এবং মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে এলে নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা যাবে।’

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park