ঝালকাঠিতে নির্যাতনের চার’মাস পর হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া এক নারীর লাশ নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে ঐ নারীর স্বজনরা। ঝালকাঠি পৌর এলাকার কলাবাগানের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী তাসলিমা বেগম বুধবার সকাল ৯টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত তাসলিমা বেগমের স্বামী মো. খোকন বিশ্বাস দৈনিক দেশেরকথা কে বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে বাড়ির পাশের (নতুন কলাবাগান) হায়দার খানের ছেলে সাইফুল খান, তার স্ত্রী রেশমা বেগম, রজ্জাক ভূইয়ার ছেলে নুর জামাল ও নাতী এলিন ভূইয়া এবং আবুল ভূইয়ার ছেলে শামীম ভূইয়া চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্যাতন করেছে। ঘটনার পর ১৯ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর থানায় একটি এজাহার দিয়েছি।
আমার স্ত্রীর একটি রগ কেটে যাওয়াসহ নান ধরনের শারীরিক ক্ষতি হয়। তার পর থেকে চারটি মাস যাবৎ বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসনা করাই। সবংশেষে গত ১৬ আগষ্ট বাসায় বসে আমার স্ত্রীর শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। সেখানে ১৭ আগষ্ট সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে বুধবার ঝালকাঠিতে তাসলিমার মরদেহ আনার পর মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনরা। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর পরামর্শে পরে তারা লাশ নিয়ে থানায় যায়। আসামী গ্রেফতার করা হবে থানা পুলিশের এমন আশ্বাসে নিহত তাসলিমার জানাজা ও দাফনের জন্য দুপুর ১ টায় লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে ঐ মামলার আসামীরা কেউ এলাকায় নেই বলেও জানাগেছে।
সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনার পর এপ্রিল মাসেই বাদি খোকন বিশ্বাসের এযাহার পেয়ে ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড ধারায় মামলা রুজু করেছি। আইনিভাবে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT