জবি প্রতিনিধি>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রধান ফটকের সামনে অস্থায়ী খাবার দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের চাপে ক্যাফেটেরিয়াতে অত্যধিক ভীড় ও খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমনকি বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও পাচ্ছে না। আবার এখন অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের সকালে ক্লাস পরীক্ষা চলছে। এমন ভীড়ে ভোগান্তির কারণে নাস্তা না করেই ক্লাস পরীক্ষায় উপস্থিত হচ্ছে তারা৷
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের জন্য তিনটি ক্যাফেটেরিয়া থাকলেও বর্তমানে একটি মাত্র চালু আছে। এছাড়া একটি অস্থায়ী টিএসসি থাকলেও তা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তাদের দাবি 'চাঁদাবাজি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি লাঘবের জন্য'ই বন্ধ করা হয়েছে টিএসসি'।
আর এদিকে টিএসসি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে খাবারের পুরো চাপ পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াতে। শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদার তুলনায় কম খাবার থাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় খাবার। আর এজন্য সারাক্ষণ'ই ভীড় লেগে থাকে ক্যাফেটেরিয়াতে।
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, "সকালে পরীক্ষা থাকায় আমরা বাসা থেকে নাস্তা করে আসতে পারিনা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়াতে নাস্তা করবো বলে চলে আসি। কিন্তু এসে দেখি খাবারের জন্য বিশাল সিরিয়াল। এতে করে আমরা অনেক সময় নাস্তা না করেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি"।
বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "আমার বাসা ঢাকার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আসা যাওয়া করে ক্লাস করি৷ খুব সকালে বাস ধরতে হয়৷ তাই নাস্তা করে বের হতে পারি না। ক্যাম্পাসে এসেই খাবার খেতে হয়। কিন্তু এসে যখন দেখি নাস্তা থাকে না, থাকলেও আবার লম্বা লাইন। তখন দাঁড়িয়ে খাবার নিতে অনেক কষ্ট হয়"।
ক্যাফেটেরিরার দায়িত্বে থাকা মো. মাসুদ মিয়া বলেন, "আগের থেকে এখন খাবারের চাপ এখন একটু বেশি। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও এখন সামলে নিচ্ছি"।
টিএসসি বন্ধ হওয়ার বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, "আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কথা ভেবেই টিএসসি বন্ধ করেছি৷ তাছাড়া এখানে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। আমরা এখন এটা সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের বসার উপযুক্ত জায়গায় পরিণত করবো। যেখানে শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিবে"।
সার্বিক বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, "এখন শীতের সময় থাকায় গ্যাস থাকে না ঠিকঠাক মত৷ তাই ক্যাফেটেরিয়ার খাবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার উপর আবার টিএসসি বন্ধ হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে একটু ভীড় থাকে এটা আমরাও লক্ষ্য করেছি৷ তবে, খুব দ্রুত'ই সমস্যার সমাধান হবে"।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT