270 বার পঠিত
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে কৃষক পুরস্কার বিতরণ ২০২৪ ও “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রতিটিতে তিন বিভাগেই ১ জন প্রথম , ২ জন দ্বিতীয় ও ৫ জন করে যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের যথেষ্ট প্রভাব থাকলেও ডিএই মাঠ পর্যায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। আমাদের দেশের কৃষকেরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন। এর ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ফলনও ভালো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম.এম.আর জাহাঙ্গীর।
কৃষি জমির পরিমাণ ও মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ড. জাহাঙ্গীর বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি উৎপাদন ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে সেচ দেয়া, বছরের পর বছর একই চাষ না করা, জমিতে চাষ কম দেয়া ও ফসলের উচ্ছিষ্ট জমিতে ফেলে রাখার মাধ্যমে জমির উর্বরতা ও ফলন বাড়ানো সম্ভব।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা বিষয় আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছয়টি জেলার কৃষি উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাছাড়া বস্তায় আদা চাষ ও পলিনেট হাউজের ব্যবহার ও উপকারিতা কৃষকদের মাঝে তুলে ধরা হয়।
ডিএই’র ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।