চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে রোগীর চাপ রয়েছে বহিঃবিভাগেও। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বাহিঃবিভাগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মোট ভর্তি হয়েছে ১৬৩ রোগী। এরমধ্যে অধিকাংশ শিশু এবং বাকিরা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।
ডায়রিয়া আক্রান্ত একাধিক রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে এক রোগীর স্বজন বলেন, দু’দিন থেকে আমার ৭ বছর বয়সী মেয়ের প্রচন্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।দু’দিন আগে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া (চপ-বেগুনি) খেয়েছিলাম। খাওয়ার পরই গ্যাস্টিকের সমস্যা অনুভব করি। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে কম হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে হঠাৎ শুরু হয় ডায়রিয়া এবং রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ফুট পয়জনিং এর কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার গ্রহণের ফলেও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT