পচন ধরেছিলো মানুষিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ সালামের বাম পায়ে, হয়েছিলো পোকা, বের হচ্ছিলো দূর্গন্ধ। এমন অবস্থায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন সালাম মিঞা।স্বজনদের খোঁজ না মেলায় ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের চিকিৎসা করান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন,পারভেজ,মঈন,হাসিব ও সোহাগ নামের পাঁচ যুবক।
ভারসাম্যহীন বৃদ্ধের পায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে তা ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন,পারভেজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্টটি দেখে ঝালকাঠি - ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন এমপি’র পুত্র মাহির হারুন। তিনি পোস্টটি দেখে পারভেজ এর সাথে যোগাযোগ করে মানসিক ভারসাম্যহীন সালাম মিঞাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে যেতে বলেন এবং বরিশালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন,পারভেজ, মঈন, সোহাগ , হাসিব ও বেলাল সালাম মিঞাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ডাঃ আব্দুর রহিম তত্বাবধায়নে চিকিৎসা শুরু করেন এবং পায়ের অপারেশন করান। বরিশালে উন্নত চিকিৎসার খরচ বহন করে এমপি পুত্র মাহির হারুন ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন। এমপি পুত্র মাহির হারুন ও মানবতার ফেরিওয়ালা হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন এর আর্থিক সহযোগিতায় ওই তিন যুবকের নিরলশ চেষ্টা ও সেবাযতেœ ভারসাম্যহীন সালাম শাররিক অবস্থার উন্নতি হলে বরিশাল থেকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সালাম মিঞা বাগের হাট জেলার মোল্লার হাট উপজেলার গাওনা মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সালাম নামের এই মানুষিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। তখন পারভেজ ও সোহাগের মাধ্যমে তার চিকিৎসা শুরু করাই। তখন দেখতে পাই সালামের পায়ে পচন ধরেছে এবং পোকা বাসা বেঁধেছে।তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে বরিশালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানাই। এমপি সাহেবের ছেলে মাহির হারুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্টটি দেখে বরিশালে নেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেয় এবং চিকিৎসার জন্য নগত ১০ হাজার টাকা দেয়। আরো কিছু লোকজন মানবিক এই কাজে এগিয়ে আসছে। সালামের চিকিৎসার জন্য এখন পযর্ন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো ব্যায় হয়েছে।
মাহির হারুন গণমাধ্যমকে জানান , অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমি তৃপ্তি পাই। আমার বাবা আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন রাজাপুর - কাঠালিয়ার জনগনের ভালোবাসায় টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে এমপি হয়েছেন। বাবা যেমন রাজাপুর - কাঠালিয়ার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তেমনি আমি সহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও অসহায় দুঃস্থ মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
অপরদিকে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সুমন,পারভেজ,মঈন,সোহাগ,হাসিব ও বেলাল এই মানবিক কাজের জন্য প্রসংশায় ভাসছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT