91 বার পঠিত
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আসতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) টানেল দিয়ে আনোয়ারা পৌঁছে ১২টায় সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।ভোর থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস-ট্রাক-পিকআপে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থান নেয়। পরে স্লোগানে-স্লোগানে জনসভাস্থলে ঢুকতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের ক্রসিং অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে এবং পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসযোগে বিভিন্ন সড়ক ধরে আসছেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনকালে, নদীর তলে গাড়ি চলে’ ‘শেখ হাসিনার শাসনকালে, পদ্মার উপর গাড়ি চলে’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আগত দর্শকদের উজ্জ্বীবিত করেন।
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে এক গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মহেশখালী, টেকনাফ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এক অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তুলছেন। আজকে তিনি অর্থনৈতিক বলয়ের আরেক স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করবেন। বীর চট্টলার জনতা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বেলিত, উৎফুল্ল।
জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা জনসভাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।
নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের দুই হাজার ৮৭ জন সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। সাদা পোশাকের পুলিশও আছে।’