122 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি>কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ঘূর্নিঝড়ে ঘরের ভিতর চাপা পড়ে সুফিয়া (৪২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে ঘূর্নিঝড়ে ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ফসলের মধ্যে রয়েছে বোরা ধান, ভূট্টা, পাট, তিল, কলা,শাকসবজি, গাছপালাসহ বিভিন্ন জাতের ফসল।
এতে কৃষির উপর নির্ভশীল কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই ঝড়ে উপজেলায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সুধিজন মনে করেন। গতকাল বুধবার( ১২ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গত ২৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে পশ্চিম উত্তর দিকে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঘূর্নিঝড়ে উপজেলার চর শৌলমারী, বন্দবেড়, রৌমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বোরা ধান, ভূট্টা, পাট, তিল, কলা, শাকসবজি ঝড় হাওয়ায় জমিতে পড়ে গেছে। পাটের গাছ ও জমিতে ছিটানো বীজ বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
গাছপালা ভেঙ্গে গুরত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর চলাচলে ব্যাহত সৃষ্টি হয়েছে। ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারি বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়ালি কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। অধিকাংশ গাছ ঘরের উপর পড়লে ঘর ভেঙ্গে যায়।
মেরামত করতে না পারায় ওই সব পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঝড়ের কবলে ঘরের উপর গাছ পড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে সুফিয়ার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার কোমরভাঙ্গি ভিটা পাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী।
এবিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম জানান, বোরা ধান ৩ হেক্টর, ভুট্টা ২, শাকসবজি ৬, পাট ৩, তিল ২ ও কলা ১ হেক্টর ফসল ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান দাড়ায় প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার মতো। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পূর্ণবাসনের চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ঝড়ে অত্র এলাকায় বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ নিহত পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ৫০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পলিথিন কাগজ এবং ত্রিপাল দেওয়া হয়েছে।