গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেছেন। মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৩২শ জনকে আসামি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ঘটনার ১১ দিন পর সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় ১০৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩২শ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গত শনিবার (১০ আগস্ট) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী। এতে বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল।
সেখানে যানবাহনে ভাঙচুর ও যানমালের ক্ষতি হতে পারে এমন সংবাদ পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর দুটি টহল টিম ঘটনাস্থলে যায়। সেনাসদস্যরা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে সেনাসদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।ছিনিয়ে নেওয়া হয় সেনাবাহিনীর দুটি অস্ত্র। এ ঘটনায় আহত হন ৯ জন সেনাসদস্য।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT