149 বার পঠিত
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি> গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা কুটিপাড়া গ্রামে মা শাহারবানু বেগমকে মারপিট করার অভিযোগে ছেলে শফিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শফিউল ওই গ্রামের মহির উদ্দিন কবিরাজের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামি শামছুল হক, মরিয়ম বেগম ও আঙ্গুরী বেগম পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৭ মাস পূর্বে শাহারবানুর স্বামী মারা যায়। তখন থেকে স্বামীর দেয়া জমিজমা চাষাবাদ করে আসছে শাহারবানু। এরই এক পর্যায় তার দুই ছেলে শামছুল হক ও শফিউল ইসলাম জোর করে মায়ের জমি-জমা জবর দখলের চেষ্টা করে। মা বাঁধা দিতে গেলে দুই ছেলে পুত্রবধূসহ মা’কে বেদম মারপিট করে। অসুস্থ্য মাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করায়।
এনিয়ে মা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক বড় ছেলে শামছুল হক কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মন্ডল বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামছুল হক কে থানা থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয় চেয়ারম্যান।
এরপর গত ১৬ আগস্ট ফের ওই দুই ছেলে মাকে মারপিট করে। এনিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর মা বাদী হয়ে দুই ছেলে ও দুই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।
মা শাহারবানু বেগম জানান, আমার বড় ছেলে শামছুল হক সাংবাদিকতা করে। সে কারণে ভয়ে তার বিচার কেউ করতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বেশ কয়েকবার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেও বিচার পাননি তিনি। তাই তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
ইউপি চেয়াম্যান মোখলেছুর রহমান মন্ডল জানান, শামছুল হক ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের একজন বড় মাপের সাংবাদিক। তার বিচার কিভাবে করা যায়। সে কোন সময়ে আমার ক্ষতি করতে পারে । সে কারণে বিচার করা সম্ভব হয়নি।
থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, আইন সবার জন্য সমান। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শামছুল হক পলাতক থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।