174 বার পঠিত
গবি প্রতিনিধি>সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে ভোক্তা অধিকার আইনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ (ডিএনসিআরপি) ও বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) এর উদ্যোগে ‘ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে’ এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ডিএনসিআরপি ও সিসিএস এর যৌথ আয়োজনে রোববার (৫ জুন) গণস্বাস্থ্য পিএইচ ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সার্বিক সহায়তায় ছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, প্রধান আলোচক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সেমিনারের সমন্বয়ক ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সভাপতি সিসিএস এর প্রধান উপদেষ্টা ড. ফুয়াদ হাসান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।
ভোক্তা অধিকার আইনের ওপর প্রেজেন্টেশন দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ হিসেবে সিসিএস এর পক্ষ থেকে তিনজন প্রশিক্ষক সেমিনারে প্রশিক্ষণ দেন। তারা হলেন সিভি লেখার কলাকৌশল বিষয়ে বিডিজবসের এজিএম মোহাম্মদ আলী ফিরোজ, এনজিও সেক্টরে ক্যারিয়ার বিষয়ে জি-স্যোসাল এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ নুরুল আলম রাজু ও ভাইভা প্রস্তুতি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিএসডিআই এর নির্বাহী পরিচালক ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমপ্লয়্যাবিলিটি মেন্টর কে. এম. হাসান রিপন।
প্রধান আলোচক এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারা দেশে মাত্র ২১৭ জন জনবল দিয়ে ১৬ কোটি ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এত কম সংখ্যাক জনবল দিয়ে ভোক্তার অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যাপক জনসচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছে তাদেরকে নিজের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের চলমান কাজে সম্পৃক্ত প্রয়োজন।‘
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরের নাস্তা, কলম-প্যাড ও একটি ক্যারিয়ার বিষয়ক সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।