170 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভুট্টা কাটা-মাড়াই ও বিক্রি বাট্টায় চলছে মহাকর্মযজ্ঞ।এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক,শ্রমিক,ব্যবসায়ীরা।সরকারের কৃষি প্রণোদোনার সার,বীজ,কৃষি পরামর্শ পেয়ে যেমন বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। বিঘ্ায় খরচ হয়েছে ৬থেকে৭হাজার টাকা।ফলন পাচ্ছেন ৩০থেকে৩৫মন।
বিগত বছর ভুট্টার মন ছিল ৪৮০থেকে ৫০০টাকা।চলতি বছর প্রতিমন (৪০কেজি)হাজারো অধিক দামে বিক্রি করে খরচবাদে আয় করছেন ২২থেকে২৮হাজার টাকা।ব্যবসায়ীরা হুমড়ি পড়ে মাঠের ক্াঁচা ভুট্টা মাঠে কিনছেন ওই দামে।
এতে কৃষক,ব্যবসায়ী লাখ লাখ টাকা আয় করে আনছেন ভাগ্যের পরিবর্তন। নি¤œ আয়ের মৌসুমি মাড়াই(মেশিন)মালিকরা ভুট্টা চাষির বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাড়াই করে বিঘা প্রতি নিচ্ছেন ৬০০টাকা।যা প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮বিঘা মাড়াই করে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আয় করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনছেন।
কৃষকরা জানান,অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টায় উৎপাদন খরচ কম,অধিক লাভ, নগদ বিক্রিতে ঘরের দোরগোড়ায় গড়ে উঠেছে বিপণন বাজার ব্যবস্থা।সোনাখ্যাত দানাদার ফসল ভুট্টায় ভাগ্য বদলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। কৃষি অফিস জানায়,দেশের মানুষের খাদ্যসহ বেড়েছে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ ও গবাদি পশু পালন ।
এতে খাবার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ছে ভুট্টার।তাই ভুট্টার চাহিদাও থাকছে বছরজুড়ে।যার কারণে দাম না কমে আরো বারে। চাষিরাও রেকর্ড পরিমান লাভবান হচ্ছেন।প্রতিটি কৃষক ঝুঁকছে ভুট্টা চাষে। ভুট্টা বিক্রি করে শুধু নগদ অর্থ প্রাপ্তি নয়,কচিপাতা বিক্রি করে বাড়তি আয় করাসহ গাছের শুকনো কান্ড,খোসা, মোদনা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে পরিবারে আনছেন সাশ্রয়।
চলতি বছর প্রায় ৪হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃষাণ-কৃষাণীরা ভুট্টা ঘরে তোলা মাত্রই কোন ঝামেলা ছাড়াই উঠোন বাড়িতে নগদ মূল্যে বিক্রি করে ক্াঁচা টাকা আয় করছেন। বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি গ্রামের ভুট্টাচাষি জাহাঙ্গীর জানান,গত বছর যে ভুট্টা মন বিক্রি হয়েছে ৪৮০থেকে ৫০০টাকা।
এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১হাজার১০০ টাকা।৫বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে তার খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা।ফলন পেয়েছেন ১৩৫মন। যা খরচবাদে লাখের অধিক টাকা আয় করেন। যা অন্য ফসলের চেয়ে রেকর্ড পরিমান ( তিনগুন) লাভবান হন তিনি ।পুটিমারী ভেড়ভেড়ি গ্রামের কৃষক জলিল বলেন,যৎসামান্য খরচে উৎপাদিত ফসল ভুট্টায় কৃষক,ব্যবসায়ী,বর্গাচাষী পরিবারের আর্থসামাজিকপেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছে।
একসময় জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকত। এখন সেই জমিতে ভুট্টার পর আউশ,আমন চাষ চলছে। এরপর আগাম আলু চাষ কর্ াযাবে যথা সময়ে।উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শে কৃষকগণ যথা সময়ে কৃষিপ্রণোদনার সার,বীজ পেয়ে ভুট্টার চাষাবাদ করেন।ভাল ফলন,দিগুন দাম পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।