79 বার পঠিত
কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধ
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে কুয়াকাটার ১১ কিলোমিটার প্রধান সড়ক। পাখিমারা বাজার থেকে আলিপুর পর্যন্ত সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। এতে পর্যটন ক্ষাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে সকল ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,কর্তৃপক্ষ সবকিছু দেখেও যদি নীরব থাকে তাহলে কার কাছে সমাধানের জন্য যাব ?, বর্তমানে যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে এটাকে মহাসড়ক বলতে লজ্জা হয়। অথচ শুধু পর্যটক নয়, কুয়াকাটা মৎস্যকেন্দ্র এবং মহিপুর-আলীপুর মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের বাণিজ্যের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটাই এখন মরণ ফাঁদে পরিণত।
শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কের পিচ উঠে গিয়ে গোটা সড়কেই তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। সড়কের পাশের মাটি সড়কের সঙ্গে মিশে চষা ক্ষেতে পরিণত হয়েছে। সড়কের এমন দুরবস্থায় দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। যাত্রী থেকে চালক—সবাই ভোগান্তি নিয়ে এই সড়কে চলছে। সংবাদ কর্মীদের দেখে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ।
দুর্দান্ত থেকে আসা পর্যটকরা সোনালী নিউজকে বলেন, আমি মোবাইলে টিউটোরিয়াল দেখে কুয়াকাটা বেড়াতে এসেছি, এখন কুয়াকাটা ঘুরবো কি। আসতে আসতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি কুয়াকাটার রাস্তা এতটা খারাপ জানলে কখনোই কুয়াকাটার নাম মুখে নিতাম না। অন্যজন বলছেন, পর্যটন কেন্দ্র এমন সড়ক থাকবে তা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি, দ্রুত সংস্কার করার দাবি, না হয় কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে পর্যটক।
বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই রাস্তা থেকে আমাদের চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, এই ভাঙ্গাচুরা সড়ক আমাদের এক বোনের জীবন কেড়ে নিয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে আমরা এই মরণ সড়কটি থেকে রক্ষা পেতে চাই।
মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, আমাদের মাদ্রাসার সামনে এই হাইও রাস্তাটা আগামীকালকের মধ্যে সংস্কার করতে হবে এই রাস্তাটি আমাদের এক শিক্ষার্থীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আমরা চাই না আর কোন মায়ের বুক খালি হোক, সুন্দর ও সুশিক্ষা নিতে শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ঝুঁকি না নিয়ে সড়কপথে বিদ্যালয় আসতে পারে।
কুয়াকাটা টোয়াক এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটা দেশের একটি পর্যটনশিল্প যেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার দেশি বিদেশি পর্যটক আসা যাওয়া করেন সেই সড়কটি এমন বাজে অবস্থা হওয়াতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে অনেক আবাসিক হোটেল বিদুৎ বিল দিতে পারছে না, স্টাফ চাকরি হারাচ্ছে। এটি পর্যটন শিল্পের অনেক বড় হুমকি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম জানান , ইতিমধ্যেই সড়কের রিপিয়ার কাজ শুরু হয়েছে আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্রুতর সাথে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন হবে। যাতে পর্যটকদের এই ১১ কিলোমিটার সড়কটি নিয়ে আর কোন অভিযোগ না থাকে স্বাচ্ছন্দভাবে কুয়াকাটা আসতে পারে এবং কুয়াকাটা সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি ।