95 বার পঠিত
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বাসায় ফের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জনসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দেবা চক্রবর্তী নেশার টাকা না পেয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন হেমন্ত চক্রবর্তী।
আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- একই পরিবারের সদস্য উমা রানী (৬০), তার মেয়ে বিনা চক্রবর্তী (৪০), ছেলে দেবা চক্রবর্তী (২৮) ও নাতি পিনাক চক্রবর্তী (১৫)। অন্যরা হলেন- প্রতিবেশী লিপি চক্রবর্তী (৩০), স্বপন রাজবংশী (৫৫), তারা রানী (৩৫) তাপশ (৩০) রাখি রানী (৩২) নিঝুম (২৯) (১১) টিটু চক্রবর্তী( ৩৮)। এ ঘটনা নিঝুম ও পিনাক চক্রবর্তীর অবস্থা খুব খারাপ বলে জানিয়েছেন পরিবার।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা ২০মিনিটের দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের কাওটাইল ঋষিপাড়া এলাকার বিমল ঠাকুরের ৪তলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিমল ঠাকুরের ছেলে দীপার চক্রবর্তী নেশাগ্রস্ত তিনি নেশা খেতে টাকা না পেয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস ছেড়ে দেন।
উমা রানীর নাতনি জ্যোতি দাস জানান, ৪ তলা বাড়িটি তাদের নিজেদের। নিচতলায় থাকেন উমা রানী এবং তার ছেলে ও মেয়ের পরিবার। সকালে উমা রানি রান্নার জন্য রান্নাঘরে যান। সেখানে গিয়ে দেয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। আর বাসার দেয়াল কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। দ্রুত দগ্ধদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে আহত প্রতিবেশী লিপি চক্রবর্তীর ছোট ভাই সৌরভ আচার্য জানান, লিপির বাসা ওই বাড়ির পাশেই এর আগেও দেবা চক্রবর্তী বাসায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন । সকালে যখন বাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তখন সেখান থেকে দেয়ালের ইট এসে লিপির মাথায় পড়েছে। স্বপন রাজবংশী পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। থাকেন ওই এলাকাতেই। সকালে ওই বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন বিস্ফোরণে ইট এবং সাটার ভেঙে এসে তার মাথায় পড়েছে বলে জানান। বিমল ঠাকুরের
নিচতল বিমল ঠাকুরের চারতলা ভবনের বিল্ডিং এর ছাদ ফাটল ধরেছে।
কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সজীব প্রকাশ চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেেন আহত দশ জনের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির।