73 বার পঠিত
অক্ষয় পুণ্যলাভের আশায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রম (Hiscoher) এর অক্ষয় তৃতীয়াব্রতম সনাতন ধর্ম্ম সম্মেলন ১৪৩১ আয়োজনে ভোর ৫ টা থেকে আহ্বানী, সমবেত প্রার্থনা, মঙ্গলঘাট স্থাপন, শ্রী শ্রী বিষ্ণ পূজা,গঙ্গা মায়ের পূজা শেষে সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগুরু প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রী জয়দেব ঠাকুর। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরের সহধর্মিণী জগৎমাতা হরপ্রিয়া দেবী ও পরমপূজ্যপাদ ঋত্বিক মহারাজ ডাঃ রাধাস্বামী।
অনুষ্ঠানে কলাপাড়া পৌর মেয়র শ্রী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ভাগবত আলোচনা রাখেন আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রমের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পরিতোষ রায়, ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান, অনুষ্ঠানে আরো ভাগবত আলোচনা রাখেন কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিহার রঞ্জন, আরো আলোচনা রাখেন (HISCOHER) ভক্ত প্রভাষক শ্রী সঞ্জয় মন্ডল, ভক্ত শ্রী শ্যামল চন্দ্র মালো, ভক্ত শ্রী গোবিন্দ দেবনাথ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত জয়দেব ভক্তবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক শ্রী রতন কুমার দাস।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘ ও আশ্রম এর প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী জয়দেব ঠাকুর, সভাপতি ডাঃ শ্রী পরিতোষ রায়, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে সানাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নানে আসেন। এ সময় হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এ সময় সৈকতে দেখা যায় অনেকেই স্নান শেষে পরিবার নিয়ে গীতা পাঠ করছেন, আবার কেউ প্রার্থনা সহ ধর্মীয় রীতি-নীতি মগ্ন হয়েছেন।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দিন গঙ্গাস্নান করলে অক্ষয় পুণ্য অর্জন করা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন, এই তিথিতে স্বয়ং নারায়ণের বাস থাকে গঙ্গায়। তাই যদি এই তিথিতে গঙ্গায় স্নান করা হয় তাহলে জীবন থেকে দুঃখ, রোগব্যাধি একেবারে মুছে যায় এবং জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে।
অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরে বাস ও গাড়ী যোগে অক্ষ য় তৃতীয়া অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব ভক্তবৃন্দরা খুলনায় আন্তর্জাতিক হরিভাবনামৃত সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে শনি ও রবিবার ২(দুই) দিন ব্যাপী অষ্টপ্রহর মহানামযজ্ঞ ও পদাবলী কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।