1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
কুয়াকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে, সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন। - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম শাহজাহান ওমরকে কারাগারে প্রেরণ, আদালত প্রাঙ্গনে জুতা-ডিম নিক্ষেপ সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর গ্রেফতার বেরোবিতে ”ক্লিন ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস” শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত  বিএনপির সভাপতির আমন্ত্রণে আমুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতি সভায় অতিথি! নতুন আইজিপি বাহারুল,ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত রাজাপুরে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  গলাচিপায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ,নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান,এলাকায় উত্তেজনা জুলাই গণহত্যার সুপ্রিম কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক পুলিশপ্রধান অটো রিক্সার বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো জাবি শিক্ষার্থীর প্রাণ প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা

কুয়াকাটা ক্লাবের বিরুদ্ধে, সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন।

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ
  • প্রকাশ শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 122 বার পঠিত

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি>পটুয়াখালী কুয়াকাটার আলোচিত সংগঠন  কুয়াকাটা ক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের অনিয়ম ও দূর্নীতর, অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা।

এমন ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েছে কুয়াকাটার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

শনিবার ( ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে, কুয়াকাটা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লুৎফুল হাসান রানা। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলাম মিরন, নেছার উদ্দিন হাওলাদার ও সদস্য সাইদুর রহমান সবুজ।
সংবাদ সম্মেলনে লুৎফুল হাসান রানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ১৩ জন উদ্যমী তরুন-যুবক ২০১৯ইং সালে ‘কুয়াকাটা ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করি। যা ওই বছরের ১ অক্টোবর ২০১৯ইং জয়েন্ট স্টক কোম্পানী থেকে ‘কুয়াকাটা ক্লাব লিমিটেড’ এর নিবন্ধনও পাই। প্রতিষ্ঠা লগ্নে সদস্য প্রতি ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা করে দিয়ে নিজস্ব ভবনের জন্য ৪ একর ৬০ শতাংশ জমি বায়না করি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্লাবটি সাংগঠনিক নিয়মে পরিচালিত হয়ে আসলেও ক্লাবটির সভাপতি
ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন মুসুল্লী, অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ কতিপয় সদস্য নিজেদের খেয়াল খুশি মত ক্লাবটি পরিচালিত করছে। সামাজিক সংগঠন হিসেবে কুয়াকাটা ক্লাব ব্যাপক পরিচিত পাওয়ায় গত ৩ বছরে শতাধিক সদস্য অর্ন্তভূক্ত হয়। সদস্য প্রতি ১ লাখ টাকা করে নেয়া হয়।

ক্লাবের নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল ওইসব সদস্যদের অদ্য পর্যন্ত সদস্য হিসেবে রিকগনিশন’ বা আর্থিক সহায়তা গ্রহনের ‘রিসিট’ দেয়া হয়নি। রিসিট দেয়ার জন্য বার বার তাগাদা দিলে দেই দিব বলে কালক্ষেপন করে আসছে।

এনিয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে গত ৫ মার্চ ২০২২ইং তারিখে সাধারণ সম্পাদক রুমান ইমতিয়াজ তুষার কার্যনির্বাহী কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, ওয়াহিদুজ্জামান সোহেলসহ তাঁরা তিনজন কতিপয় সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে একটি রেজ্যুলেশন তৈরি করে ক্লাবের নামে পরিচালিত অগ্রনী ব্যাংক কুয়াকাটা শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংক কুয়াকাটা শাখা এবং বেসিক ব্যাংক মহিপুর শাখা থেকে সব টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কুয়াকাটা ক্লাব এখন ঢাকায় বসে পরিচালিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় অফিস থাকলেও তা বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা শুনেছি, সেখানে বসে তাঁরা কুয়াকাটা ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে নানান অপকর্ম করছেন এমন দাবী করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কুয়াকাটা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে লুটপাট করে খাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিনত করেছেন। বার্ষিক এজিএম সভায় ক্লাবের আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশ উপাস্থাপন না করে ক্লাবের ফান্ডে থাকা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। এ নিয়ে আমরা সদস্যদের একাংশ প্রতিবাদ করলে আমাদের না জানিয়েই নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিতে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের না রেখে নিজেদের ইচ্ছে মাফিক ক্লাবটি পরিচালিত করছে। স্টক কোপম্পানী আইনের বর্হিভূত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নেছার উদ্দিন হাওলাদার দাবী করেন, ক্লাবের জমি ক্রয় বিক্রয়ে অসচ্ছতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন মুসুল্লীর শশুর আঃ মান্নান হাওলাদারের কাছ থেকে ক্লাবের জমি ক্রয় করা হয়েছে। ওই জমি মরহুম আঃ করিম হাওলাদার গংদের পক্ষে নিন্ম ও উচ্চ আদালত রায় ডিগ্রি দিয়েছে। এমতাবস্থায় ক্লাবের নির্মাণাধীন ভবন ও সম্পত্তির অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেছে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাইদুর রহমান সবুজ বলেন, তার কাছ থেকে সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান নগত ১ লাখ টাকা নিলেও জমা রিসিট কিংবা সদস্য কার্ড দেয়া হয়নি।সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবী করেন, কুয়াকাটা ক্লাব একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনের অনেক সদস্য রয়েছে যারা সরকারের গুরুত্বপুর্ণ পদে রয়েছে। এসব সদস্যদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হলেও জমা রিসিট দেয়া হয়নি বলে দাবী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যরা কুয়াকাটা ক্লাবের সভাপতিসহ কতিপয় অর্থলোভী সদস্যদের আর্থিক অনিয়ম ও দূর্নীতর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তারা। এবিষয়ে কথা বলতে কুয়াকাটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সোহেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park