88 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি ময়দান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ দখল করে রাস্তা নির্মাণের উপকরণ ফেলায় সপ্তাহকাল ধরে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।এছাড়াও মালামাল পরিবহনের গাড়িসহ মিক্সার মেশিনের বিকট শব্দে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।পাশাপাশি বিটুমিন গলানোর জন্য সেখানে স্থাপন করা হয়েছে চুলা।
বিটুমিন গলানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্যান্ডেল।এসময় স্যান্ডেল পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও নির্মাণ সামগ্রীর ধূলো-বালিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।ফলে নির্মাণসামগ্রী ধূলোবালি,পোড়ানোর কালো ধোঁয়া ও গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
এতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।প্রকৌশল দফতর থেকে জানা গেছে, এ কাজ আরো এক সপ্তাহ চলমান থাকবে।জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাহাগিলী ইউনিয়নে উত্তর দুরাকুটি গ্রামের ময়দান পাড়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা সংস্কারের সব উপকরণ ময়দান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফেলে ভরাট করে রেখেছে।আর ২ থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে না বসে মাঠে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছে।তাদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাম্মাৎ মোবাশ্বিরি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ে এসে ঘোরাঘুরি ছাড়া কী করব।
মাঠে খেলার জায়গা নেই। মেশিনের শব্দে শিক্ষকরা ক্লাসে ঠিকমত পাঠদান করতে পারছেনা। স্যান্ডেল পোড়া গন্ধে তো থাকাই যাচ্ছে না।প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ পাশা মিয়াসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন,ঠিকাদারের লোকজন প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজোস করে মোটা অর্থ বিনিময় করে।এতে ঠিকাদার মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলার অনুমতি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা গোল্লায় যাক তা কে দেখবে। সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। আবার আগামী এক সপ্তাহ মিস্কার মেশিনের শব্দে পাঠদান চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছ।প্রধান শিক্ষক এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে মাঠ দেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ঠিকাদার আমাকে কোনো কিছু না জানিয়ে হঠাৎ স্কুল মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলেছে।বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদৌল্লা লিপটন জানান, ঠিকাদারকে আমরা ফাঁকা জমিতে নির্মাণসামগ্রী ফেলার জন্য বলেছিলাম।