243 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টানা ৪ দিনের অবিরাম ভারি বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৯ টি ইউনিয়নে ১৮ শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পানির নিচে তলিয়ে গেছে ২০০ হেক্টর জমির আমন ধানক্ষেত, ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছে ৫ হেক্টর জমির আগাম আলু, ৩০ হেক্টর জমির শাকসবজিক্ষেত। কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে ২০ কিলোমিটার এবং পাঁকা রাস্তা ১০ কিলোমিাটরসহ ব্রীজের সংযোগ সড়কে ধস দেখা দিয়েছে।
গতকাল রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত সড়ক ও বাসা বাড়ির পাশ থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় পানিবন্দি পরিবার দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। উপজেলা প্রশাসনের তরপ থেকে জানানো হয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। টানা বৃস্টিপাতের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৯ টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫ টি গ্রামের ১৮শ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে। গতকাল রোববার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত পানি নেমে না যাওয়ার কারনে পরিবারগুলো দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু জানান, আমার ইউনিয়নের ১২ টি গ্রামের প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামগুলোর রাস্তাঘাট নিচু হওয়ার কারনে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় পানি নেমে যেতে সময় লাগছে। এর এ কারনে তারা বেশি সমস্যায় রয়েছে । বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দ্যৌল্লা লিপটন বলেন, আমার ইউনিয়নের ৭ টি গ্রামের ৪ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে বাহাগিলি ধরেয়ার ডাংগা ও বাহাগিলি আর্দশ গ্রামের অবস্থা খুবই দুর্বিসহ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, বৃষ্টিপাতের কারনে আমন ধান, আগাম আলু,শাকসবজিসহ ২৩৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে গোটা উপজেলায় ১৮শ পরিবার পানিবন্দির পাশাপাশি ২০ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক ধসে গেছে। ধসে যাওয়া সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে। পানিবন্দিদের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারনে কিশোরগঞ্জ থেকে বড়ভিটা পাঁকা সড়ক, বড়ভিটা থেকে খোকার বাজার সড়ক, কিশোরগঞ্জ থেকে পাড়ঘাট সড়ক, কিশোরগঞ্জ থেকে বাহাগিলি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। এছাড়াও চাঁদখানা সারোভাষা ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়কে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে।