201 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। চক্রটির খপ্পরে পরে সর্বস্ব খুয়েছে অনেকে। তাদের নানা চটকদার কথায় প্রতারিত হয়ে মাতব্বরদের দারস্থ হচ্ছে কেউ কেউ। ঘটঁনাটি জানাজানি হলে অফিসে তালা দিয়ে রাতারাতি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চক্রটি ঘেরাটোপের জাল বিস্তার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অনামিকা সিনেমা হল সংলগ্ন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির বাসা ভাড়া নিয়ে অফিস খুলে প্রতারক চক্রের মুল হোতা অলিয়ার রহমান নাসির নামে এক প্রতারক। তাঁর বাড়ি জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নে।
ওই প্রতারক হেলথ ফাউন্ডেশন নামে অফিস খুলে চাকরী দেয়ার কথা বলে অনেক বেকার যুবকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। কিশোরগঞ্জ,বাহাগিলি, পুটিমারী, মাগুড়া ও নিতাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ম্যানেজ করে তাদের ইউনিয়নে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ন্যায্যমুল্যে টিসিবির আদলে পন্য বিতরনের নামে গরীব অসহায়দের কাছ থেকে কার্ড ও সদস্যভুক্ত হওয়ার কথা বলে ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের কাছ থেকে ২ শ থেকে ৩ শ করে টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে পন্য বিতরনের নাম করে ওই ৫ ইউনিয়নে ৫ জন ডিলারও নিয়োগ দেন প্রতারক নাসির চক্র।
পুটিমারী ইউনিয়নের ছালামের মোড় গ্রামের বাসিন্দা পোশাক শ্রমিক দম্পত্তি শরিফুল ইসলাম ও মর্জিনা বেগম কে ওই ফাউন্ডেশনে চাকরী দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক চক্রটি। এখন পর্যন্ত চাকরী ও টাকা কোনটি না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছে তারা। ওই দম্পত্তি জানায় নাসির আমাদের দুজনের প্রত্যেক কে মাসে ১৬ হাজার টাকা মাসিক বেতন দিতে চেয়েছিল। এজন্য আমরা ধারদেনা করে তাকে টাকা দিয়েছি।
পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের লাল মোহন শীল বলেন, আমার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ওই প্রতারক আমার কাছে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। আরো অনেকের কাছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতারক নাসিরের সাথে ০১৭৪৪৫৫৭৮২৩ যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।