301 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি মৃত্যু গাভী গরু জবাই করে কসাইয়ের নিকট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক গবাদিপশু পালনকারীর বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।গত সোমবার (৪ মার্চ)রাতে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ভিটা দাঙ্গাপাড়া গ্রামে গবাদিপশু পালনকারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।পালনকারী ওই গ্রামের ছাদেকুল ইসলামের ছেলে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানী এক ব্যাক্তি বলেন,মানুষ কিভাবে মৃত্যু গরু জবাই করে বিক্রি করতে পারেন।এটি একটি ন্যাককার জনক ঘটনা।
এমন ব্যাক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দরকার।এলাকাবাসি বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিককে অবগত করলে,সোমবার রাত ৯টায় তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,আনুমানিক ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার একটি সদ্য বাচ্চা প্রসব করা ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী গরু ৩২হাজার টাকায় কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেন।রাতের আধারে চুপিসরে ভিতর বাড়িতে চলছে জবাই করা গরুর চামড়া ছিলানো ও মাংস কাটা বাছাইয়ের কাজ।
এসময় মোস্তাফিজুরের পিতা ছাদেকুল ইসলামের নিকট মৃত্যু গরু জবাই করে বিক্রির বিষয়ে চানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে জানান,খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় জবাই করা হয়েছে।গাভীটি গত বুধবার বাচ্চা প্রসব করেন।
এসময় গর্ভফুল আটকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।গত কয়েক দিন ধরে গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুর রহিমের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।সোমবার সকালে ্ওই চিকিৎসক হাত দিয়ে গর্ভফুল বের করলে গাভীটি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এতে কসাই ডেকে এনে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।পরে সাংবাদিকের পরিচয় জানতে পেরে বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে তড়িঘড়ি করে মাংস ঘরের ভিতরে রাখেন এবং নিজে খাওয়ার কথা বলেন।
এসময় কসাই আব্দূল লতিফ ও তার সহযোগী সেলিম সটকে পড়েন।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আজীজ বলেন,বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিকভাবে উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সবরুল ইসলামকে ঘটনা স্থলে প্রেরণ করা হয়।পরে ঘটনার বিবরণ ভিটিও করে বিস্তারিত আমাকে জানায়।এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।রাতে বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কেও অবহিত করি।