144 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। প্রতিকুল আবহাওয়ায় বোরো ধানের বীজতলা বিনষ্টের উপক্রম হয়েছে। বীজতলা ডেকে রাখা, পানি দেওয়া এবং ছত্রাক নাশক স্প্রে করেও বিবর্ণ রুপ ঠেকাতে পারছে না।
এতে চারা সংকটে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার দুচিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা রয়েছে। ১১ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রণচন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া ও নুরুল ইসলাম জানান, এবারে অতিরিক্ত ঠান্ডা তাই বোরো বীজতলা হলদে রুপ ধারণ করেছে।
অনেক চেষ্টা করেও ঠেকানো যাচ্ছেনা। সদর ইউনিয়নের বাজেডুমরিয়া জুম্মাপাড়া গ্রামের আলম হোসেন ও আব্দুল গফুর জানান, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় বোরো বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
পানি ও ছত্রাক নাশক দিয়ে লাভ হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, এবারে বোরো বীজতলা সবচেয়ে ভাল ছিল। কিন্তু ২০/২২ দিনের ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় কিছু বীজতলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এজন্য কৃষকদেরকে বীজতলায় পানি দেওয়া, ডেকে রাখা ও শতক প্রতি ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।