175 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে বীজতলা রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।প্রতি বছর ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে ইরি-বোরো বীজতলা কোল্ডইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বিবর্ণ রঙ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যায় ।
এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় কৃষককে।ব্যহত হয় চাষাবাদ। বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ।ফলে বৈরি আবহাওয়ার কবল থেকে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষা ও তৈরিতে ঝুঁকছেন কৃষক।এদিকে কৃষি অফিস,চারা গাজার পর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা।প্রতিদিন সকালে নিচু জমির বীজতলা পানি সেচ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
সকালে পানি ছিটিয়ে কিংবা বাশের কুঞ্চি দিয়ে চারাগাছের শিশিরকনা ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন।চলতি বছর ১১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়,আগাম হিসেবে গত ডিসেম্ববর মাসের প্রথম সপ্তাহে রোপণকৃত বীজতলার চারা গুলো শঙ্কা কাটিয়ে চাষাবাদে উপযোগী হয়ে উঠেছে। এসব চারা অনেকে নিচু জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় তৈরিকৃত বীজতলাগুলো কনকনে ঠান্ডা,শৈত্যপ্রবাহে পলিথিন দিয়ে ঢেকে তা রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষক।এরই মধ্য কিছু বীজতলা হলুদ রঙ ধারণ করেছে।পুটিমারি ইউনিয়নের কালিকাপুর বালাপাড়া গ্রামের চাষি রফিকুল জানায়,তীব্র শীতে বীজতলা রক্ষার একমাত্র ভরসা পলিথিন।
এ পদ্ধতিতে পলিথিনের নিচে চারাগুলো কম সময়ে সুস্থ সবলভাবে বেড়ে উঠে।পোকা আক্রমন করতে পারেনা ।চারা উত্তোলনে শ্রমিক খরচ কম হয়।রোপণ মাত্রই চারাগুলো জমিতে তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে। ফলন ভাল হয়।কিন্ত কাঁদা মাটির চারা উত্তোলনে শ্রমিক খরচ বেশি হয়। জমিতে বেড়ে উঠতে সময় লাগে। তাই যেকোন বৈরি আবহাওয়ায় বীজতলার চারা রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার সব কৃষকের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এর ব্যবহার সম্পকে বিভিন্ন্ ইউনিয়নের কৃষকের সাথে কথা বললে তারা একই কথা বলেন।উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে জিরো পলিথিন ব্যবহার ও কুয়াশা প্রতিরোধ ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।পলিথিনে ঢাকা বীজতলা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় নষ্ট হয় না।সময়মত ক্ষেতে লাগানো যায়।এ বীজ হতে ধানের উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হয়। তাই এ পদ্ধতি কৃষকের কাছে যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তেমনি মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
,