125 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিন ফসলি জমির টপ সয়েলের মাটি বিক্রির ধুম পড়েছে। ক্যানেলের বাঁধের মাটি সংগ্রহে ঠিকাদারদের নজর এখন কৃষি জমিতে। স্কেভেটর মেশিন দিয়ে তারা যেন ফসলি জমি জবাই করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার সরেজমিনে জানা যায়, আমন ধান কাটার পর বিভিন্ন দোলায় ফসলি জমির টপ সয়েলের মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। ঠিকাদারদের লোকদের প্রলোভনে কৃষকেরা জমিতে ইরি ধানের চারা না লাগিয়ে মাটি বিক্রি করছে। চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ির দোলায় দুটি স্কেভেটর মেশিন ও ২০/৩০টি মাটি বহনকারী ট্রলির দেখা মেলে। স্কেভেটর মেশিন দিয়ে সেখানে চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। ৩-৪ ফুট গভীর করা হচ্ছে তিন ফসলি আবাদি জমি। নাম মাত্র টাকা কৃষককে দিয়ে সাব ঠিকাদারগণ ট্রলিতে করে এসব মাটি নিয়ে যাচ্ছে ক্যানেলের বাঁধে। সেখানে হাজার ধরা দামে মাটি বিক্রি করে মধ্যস্বত্বভোগী সাব ঠিকাদাররা মোটা অংকোর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সাব ঠিকাদার ভাকু মেম্বর জানান, জমির মালিককে বিঘা প্রতি ৪ হতে ৬ হাজার টাকা দেই। জমির ওপরের অংশের ২ হতে ৩ ফুট মাটি কাটার জন্য। এখন পর্যন্ত এ দোলায় ৩০ হতে ৪০ বিঘা জমির মাটির টপ সয়েলে মাটি কাটা হয়েছে। এসব মাটি ক্যানেলের বাঁধের ঠিকাদার নিচ্ছে। কৃষি বিভাগের অনুমতি নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তোর দেননি।
ওই এলাকার কৃষক জমসেরের ছেলে মোন্নাফ ও তহিরের ছেলে হাবিবুল জানান, আমাদের জমির পাশের জমির মাটি কেটে ঠিকাদারের লোকজন গভীর করছে। যদি আমরা জমির মাটি কাটতে না দেই, তাহলে বর্ষকালে আমাদের জমিতে পানি থাকবে না। তাছাড়া ইরি আবাদও হবে না। এজন্য উচু নিচু সমান করতে বাধ্য হয়ে মাটি কাটতে দিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, জমির ওপরের ৬ হতে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটি হলো টপ সয়েল। ওই অংশে উর্বরা শক্তি থাকে। কৃষকেরা না বুঝে জমির উর্বরা শক্তিই বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবাদি জমির টপ সয়েল বিক্রির বিষয়টি জানাতে পেরেছি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে ব্যাহত না হয় এজন্য ব্লক সুপারভাইজাদের দ্বারা কৃষকদেরকে বুঝিয়েছি কিন্ত কোন কাজ হয়নি।