205 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> শৈশব মানে হইহুল্লোরে মেতে থাকা।যা মেধা বিকাশের অন্তরায়।আর দুরন্ত শৈশবে মেতে উঠেনি এমন লোক খুঁজে মেলা ভার।হরেক রকম খেলার মাঝেও একসময় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদে সকাল কিংবা বিকেলে বাড়ির উঠোন,স্কুলের মাঠ,ফসল বিহীন ক্ষেত,পাড়ার রাস্তায় পরিত্যক্ত রিক্সা,সাইকেলের টায়ার নিয়ে ছুটে চলত দস্যিপনা শিশু কিশোররা।
এখন এ দস্যিপনা স্থান করে নিয়েছে ডিস এন্টেনার টিভি চ্যানেল,কম্পিউটার,ইন্টারনেট,ফেসবুক, মোবাইল গেমসহ নানা ধরনের বিনোদন।নেই খেলার মাঠ।এতে শিশু-কিশোররা আবদ্ধ হয়ে পড়েছে এসব বিনোদনে।কিংবা সারাদিন বই পড়ে মুখস্ত করা।
এরই মাঝে শুক্রবার স্কুল ছুটির ফাঁকে বাহাগিলী ইউপির উঃ দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামে শিশু কিশোররা এমন দুরন্তপনায় মেতে উঠেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ গোলাম মওলা তালুকদার বলেন,নানা প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে শিশুদের দৃষ্টি ক্ষীণ হওয়াসহ চোখের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।ফলে অল্পবয়স থেকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে চশমা।অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার,সবুজ দিগন্তে খেলাধুলা না করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে শিশুরা চোখের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পাশাপাশি উন্মুক্ত মাঠে খেলাধুলা করতে না পারায় শিশুরা শারীরিকভাবে অলস হচ্ছে।মুটিয়ে যাচ্ছে শিশু-কিশোররা,শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ।শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে না।বন্দিত্বের কারণে খিটখিটে মেজাজের হচ্ছে শিশুরা।তাই কোমলতি শিশুদের দেহ ও মন রোবট নয়।তাই প্রযুক্তির জোয়ারে যেন তাদের শৈশব হারিয়ে না যায়।
ফিরে দিতে হবে শিশুর প্রিয় সেই মুহূর্তগুলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারী ইন্সপেক্টর আহম্মেদ আলী শাহ্ বিশু বলেন,গ্রামীণ ছেলে বেলার সেই সব দিন এখন আর নেই।শৈশব ও কৈশোরের অদম্য প্রাণশক্তি,নিষ্পাপ আনন্দ,আর দাপিয়ে বেড়ানো গ্রামীণ দুরন্তপনা শৈশব এখন অতীত।
এখনো সাইকেল কিংবা গাড়ির টায়ারকে লাঠি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার সঙ্গে ছুটে যাওয়া শৈশব সবার হৃদয়ে আঁচড় দিয়ে যায়।শহর জীবনে এমন দূশ্য চোখে না পড়লেও শিশুদের সেই চির চেনা দুরন্তপনা গ্রামীন জীবনে কিছুটা চোখে পড়ে।