16 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃএকটি দুর্ঘটনা,সারা জীবনের কান্না”। এ কান্না যেন থামছেনা।নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এমনি এক বীভৎস সড়ক দুর্ঘটনায় সহায় সম্বলহীন পরিবারের সোহাগ নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।এতে এক দিকে আর্থিক দৈন্যতা, অন্য দিকে ছেলের জীবন বাঁচাতে অসহায় পিতা-মাতার কান্নার আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। আহত যুবক উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়ন উত্তর দুরাকুটি জয়নোন কোর্ট (বর্মতল) গ্রামের বাসিন্দা দিন মজুর জাহেদুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়,গত ২৪ জানুয়ারি রাতে একই গ্রামের হাঁড়িবেচা পাড়ার কদমের তল নামক স্থানে মোটর সাইকেল ও যন্ত্র দানব মাহিন্দ্র ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এসময় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সমস্ত মুখ মন্ডল ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। উপড়ে যায় এক চোখ,ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় উপরের এবং নিচের দাঁতের চোয়াল। এ অবস্থায় মৃত্যুর জমদুয়ার থেকে কোন রকমে ফিরে এসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের ৫ম তলার ১৯ নং ওয়ার্ডে বীভৎস মুখ মন্ডলে তিন শতাধিক সেলাইয়ের অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ওই বিভাগের চিকিৎসক ডা.মাহবুব হোসেন জানান, তার উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা জন্য ১০ লক্ষ টাকার দরকার। কিন্তু দিনমজুর পিতার পক্ষে এতো টাকা সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ছেলেকে বাঁচার আকুতিতে পিতা জাহেদুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য জোর মিনতি জানান। জাহেদুল বলেন,আমি একজন জনমের গরিব পরিবারের সন্তান।এ পরিবারে ২ ছেলে, ১ মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ৫ সদস্যের জীবন সংসার। একমাত্র আমার উপার্জনে কোন রকমে চলে এতো সদস্যের রুটি রুজির ব্যবস্থা। ডা. ছেলের চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকার কথা জানান। এ পরিমান টাকা আমার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই আমি দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। পিতা হিসেবে ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য এছাড়া আর উপায় নেই।
সাহায্য পাঠানোর মাধ্যমঃ-
ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর- ০১৯৬৬৫২৭৪৭৪.