341 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এবার আগেভাগে নেমে পড়েছে শীত।অনুকূল আবহাওয়া আর শীতের আমেজে রবি মৌসুমে বানিজ্যিক ভিত্তিতে আগাম শীতকালিন রকমারী সবজি উত্তোলন,পরিচর্যা ও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।উত্তাপ ছড়ানো বাজারে আগাম সবজি উপহার দিতে পারলে অধিক লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশায় তারা বিরামহীনভাবে কাকডাকা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাঠে মাঠে উঠতি ফসল ফুলকপি,বাধাকপি,শিম,করলা,মুলা,বেগুনসহ নানা তরকারি পরিচর্যা,সেচ ও নতুন করে জমিতে হালচাষ,সার প্রয়োগ,চারা রোপণে লেগে পড়েছেন।
কৃষকের উৎপাদিত এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করেন রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা শহরে।ইতিমধ্যে লাউ,করলা,মূলা,বেগুন,লালশাক,পুইশাক,পাটশাক,সরিষাশাক,ধনেপাতাসহ নানা সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।যা পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।বিগত বছরের চেয়ে এবার এসব সবজি বিক্রি করে কৃষক অধিক লাভবান হওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে চওড়া হাসি।শুধু সবজি নয়,জমে উঠেছে বীজ ও চারার বাজার।পকেটকাটা বাজার থেকে মুক্তি পেতে গৃহস্থ পরিবারের মানুষগুলো নিজেদের চাহিদা মেটাতে হাটবাজার থেকে কপি,বেগুন,টমেটো,কাঁচা মরিচসহ এসব সবজির চারা ও নানা পদের সবজির বীজ হিড়িক পড়ে কিনছেন।
বসত বাড়ির আনাচে কানাচে,পতিত জমিতে সবজি চাষে ধুম পড়েছে।চারা উৎপাদন ও বিপনন করে অনেক কৃষক,ব্যাবসায়ীরাও হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।তাই এবছর সব মিলে শীতের সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে দিগুন।সরেজমিনে সবজির ভান্ডার খ্যাত গ্রাম চাঁদখানার ঋষিপাড়া,বাহাগিলীর উত্তর দুরাকুটির বর্মতল,মাগুড়ার মাষ্টার পাড়াসহ বিভন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,বিস্তীর্ন মাঠজুড়ে কৃষক থরে থরে লাগিয়েছেন মূলা,ফুলকপি,বাঁধাকপি,বেগুন,শিমসহ আরো কত কি।
এসব সবজি ক্ষেত সবুজের গালিচায় ভরে উঠেছে কৃষকের মাঠ।সবুজের এমন সমারোহে বাম্পার ফলন ও উচ্চ মূল্য পাওয়ার আশায় তাদের চোখেমুখে বইছে আনন্দের ঢেউ।ঋষি পাড়া গ্রামের দেখা যায়,বাবুল ঋষি ১৫বিঘা,ভবেশ ঋষি ১০বিঘা, যোগেশ ঋষি ৫বিঘা ও উত্তর দুরাকুটি বর্মতল গ্রামের আব্দুল্লা ২বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন।
তারা বলছেন,কম খরচে প্রতিবার আগাম সবজিতে ভাল লাভবান হন,তবে এবার বাজারে সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি বিঘা ৫০থেকে ৬০হাজার টাকা বিক্রির আশা করেছেন।যা বিঘায় ২০থেকে ২৫হাজার টাকা উৎপাদন খরচ বাদে অর্ধেকেরও বেশি টাকা মুনাফার আশায় বুক বেঁেধেছেন তারা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত লোকমান আলম বলেন,চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টও জমিতে সবজি চাষের লক্ষমাত্র নির্ধালণ করা হয়েছে।
এ অঞ্চলের জমি উঁচু ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় আগাম শীতকালিন সবজি চাষে খুবেই উপযুগি।মাঠ পর্যায়ে সবজি চাষে আধুনিক কলাকৌশল,জৈববালাইনাশক পদ্ধতিতে উৎপাদনে কৃষককে নানা পরামর্শ ও উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।অনুক’ল আবহাওয়ায় মাঠজুড়ে সবজির বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাজারে কিছুটা সবজি উঠতে শুরু করেছে।আর কয়েকদিন গেলে ভরা মেীসুম শুরু হবে।বাজারে চাহিদা থেকে কৃষকেরা ভাল লাভবান হবেন।