কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> গ্রীষ্মকালীন ফসল আগাম পেঁয়াজ চাষে লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষক।
চলতি বছর স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় বিগত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় কম খরচে অধিক ফলন, ভালো দামে পেলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পাবেন এমনটাই আশা পেঁয়াজ চাষিদের। কৃষি বিভাগ বলেছে, এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় উপজেলার কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশি লাভবান হবেন। এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষান-কিষাণীরা আগাম পেঁয়াজের বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন। এজন্য জমিতে আগাছা পরিষ্কার, সেচ ও বালাইনাশক প্রয়োগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। এ সময় বড়ভিটা মেলাবর গ্রামের কৃষক আঃ হামিদ জানান, সরকারি রাজস্ব খাতের কৃষি প্রণোদনার সার, বীজ, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, অর্থ সহায়তা পেয়ে আমি ২বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এতে সেচ, কৃষি শ্রমিক বাদে পুরোটাই লাভ হবে। এক বিঘা জমিতে ফলন পাওয়া যাবে ১৬ থেকে ২০মন। সঠিক বাজারমূল্য পেলে খরচ বাদে আয় হবে ৫০হাজার টাকার মত।
একই গ্রামের কৃষক বিনয় চন্দ্র ২বিঘা, পুটিমারী কাচারীপাড়ার আনছা র আলী ১বিঘা, মাগুড়া মিয়াপাড়ার শাহজাহান আলী দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করেছেন। তারা জানান, এ এলাকার বালু মিশ্রিত জমিতে অন্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে খুবই উপযোগী। যথা সময়ে সেচ, পরিচর্যা করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। সঠিক সময়ের কৃষি প্রণোদোনা, কম পরিশ্রম ও লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ চাষ দিন দিন বাড়ছে।
কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ভারত থেকে আমদানি নির্ভর কমানোসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে কৃষি বান্ধব সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপে গ্রহন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭৫জন কৃষক পর্যায়ে নাসিক রেড-৩ উচ্চ ফলনশীল বিনামূল্যের বীজ, সার, পরামর্শ প্রদান, পদ্ধতিগত প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠান এবং অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মৌসুমের আগে এ পেঁয়াজ উত্তোলন হলে বাজারে এর চাহিদা মিটবে এবং কৃষকগণও লাভবান হবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT