132 বার পঠিত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি> কমলগঞ্জের মুণিপুরী পল্লীর ঘোড়ামারায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে এ ধস দেখা দেয়। নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।
ধস দেখা দেওয়ায় ঘোড়ামারা গ্রামসহ নদীর দুপাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।স্থানীয়রা জানান, বাঁধের পাশে ধলাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয় প্রতিনিয়ত। কিছুদিন পূর্বে বাঁধের অন্যস্থানে মেরামত কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভূক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ বালু উত্তোলন করে। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও তাদের দেয়া বাঁধা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করা হয়।
বুধবার দুপুর থেকে টানা বর্ষণের পর বিকালে হঠাৎ করেই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেয়। উজানের ঢলে যে কোনো সময় নদীর পানি বৃদ্ধি ফেলে মুহুর্তেই এলাকা প্লাবিত হবে। বাঁধ ধসে পড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।আলাপকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহজালাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সালিক মিয়া বলেন, বালু উত্তোলনে করায় বাঁধ ধসের কোন কারন হতে পারেনা।
আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আমি বালু উত্তোলন করছি। শুধু আমি নয় এর আগেও একাদিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাঁধ মেরামতের জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছেন। স্থানীয় আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন,শুকুরউল্লা এলাকার ব্রীজের পাশে ঘোড়ামারায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে প্রায় ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে এ ধস দেখা দেওয়ায় ঘোড়ামারা গ্রামসহ নদীর দুপাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধস ঠেকানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ধসে পড়া বাঁধে খুঁটি পুঁতে এ পথে চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. সাকিব হোসেন বলেন, ধসে পড়া বাঁধ সরজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের কাছে স্টিমিট জমা দিয়েছি। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাধঁটি মেরামত করা হবে।