154 বার পঠিত
ত্রিশাল প্রতিনিধি>কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার ব্যক্তিগত দাপ্তরিক কক্ষ থেকে পরীক্ষার নম্বরপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার
রাতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভা গত ২৪ ফের্রুয়ারি ত্রিশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিভাগের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শেষে ২৩
ফের্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে কলা ভবনের নিচতলার ব্যক্তিগত কক্ষটি তালাবদ্ধ করে বাসায় যান
তিনি।
পরদিন সকাল ১০টায় তিনি এসে দেখতে পান তার রুমের জানালার কাঁচ ভাঙা, অফিসিয়াল
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও গোপনীয় নথি, একাধিক শিক্ষাবর্ষের নম্বরপত্র, পরীক্ষার
উত্তরপত্র, উপস্থিতির রেজিস্ট্রার খাতা ও পেন ড্রাইভ নেই। তবে সেখানে স্বর্ণালংকার ও
অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল।
ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভা বলেন, ‘এটি স্পষ্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুরি। যারা করেছে তারা নিশ্চয়ই
অনেক দিন ধরে আমাকে অনুসরণ করেছে এবং সুযোগ পেয়ে আমাকে বিপদে ফেলতেই এ কাজ করা
হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে
আমাকে জানানো হয়েছিল যে জিনিসগুলো মিসিং ছিল তার বেশিরভাগই তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন।
পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলাম আসলে সেগুলো পায়নি। দুইজনের
কথার মধ্যে গড়মিল পাওয়ায় আমাদের তদন্ত কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। আমরা দ্রæতই
অধিকতর তদন্ত করে মূল ঘটনা বের করার চেষ্টা করব।’
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীকে আহ্বায়ক করে
চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত
প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স
স্টাডিস বিভাগের প্রধান মো. আল জাবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও
নিরাপত্তা কর্মকর্তা রামিম আল করিম।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, এটি চুরি নাকি অন্য কোনো ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা
হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।