একের পর এক মেগা উন্নয়ন প্রকল্পে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে আরো একটি পালক। আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম নদীর তলদেশে টানেল । এদিন বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন এক চট্টগ্রামকে দেখতে পাবে বিশ্ব। বঙ্গবন্ধু টানেল এখন যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
টানেলের ভেতর দিয়ে কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। চলতে পারবে না কোনো থ্রি-হুইলার যানসহ রিকশা-সাইকেল।বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল এখন পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী। টানেলের প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। টানেল ব্যবহার উপযোগী করতে এবং এর ভেতর দিয়ে নিরাপদে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭টি সিস্টেম রয়েছে। সবগুলো সিস্টেমের সফল কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন টানেলের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) অক্টোবর মাসের শুরুতেই টানেলটি হস্তান্তর করবে। ইতোমধ্যে টানেলে যানবাহন চলাচলের জন্য টোল হারও নির্ধারণ করা হয়েছে।চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযোগ করে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দুইটি পৃথক টিউবে এই টানেল নির্মিত হয়।
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নদীর তলদেশে নির্মিত এটিই প্রথম টানেল। কর্ণফুলীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেল প্রকল্প গ্রহণ করে বর্তমান সরকার। পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলীর অপর প্রান্তে আনোয়ারা পর্যন্ত দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।
টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। নদীর এক প্রান্ত থেকে টানেলের ভেতর দিয়ে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৬ মিনিট সময় লাগবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আরিফ খান
Developed by Shafayet IT