433 বার পঠিত
আসন্ন উজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কর্মিবান্ধব জনপ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের সমর্থনে উৎসাহ উদ্দিপনায় মধ্যে দিয়ে চলছে ব্যপক নির্বাচন কেন্দ্রীক আলোচনা ।
আর এই নির্বাচনকে ঘিরে ইকবাল সমর্থকদের মাঝে চলছে আলাপ আলোচনা,দেখা সাক্ষাত,চা চক্র, কর্মিসভা কুশল বিনিময়।
এবারের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লক্ষে তৃণমূল আওয়ামীলীগ থেকে উঠে আসা সাবেক দুইবারের ওটরা ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান, নৌকা প্রতীকে মনোনীত সাবেক উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কর্মীবান্ধব নেতা হাফিজুর রহমান ইকবাল চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে গ্রাম পর্যায়ে।
ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে ইকবাল সমর্থক বিশাল কর্মীবাহিনী নিজেদের উদ্যোগে নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহন করে ইকবালের বিজয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবার খবর পাওয়া গেছে।
আর এই সমর্থনের কারন জানতে চাইলে তার সমর্থক বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ তালুকদার বলেন তৃণমূল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে ধারাবাহিক নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীকালে নিজ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটের মাধ্যমে তৎকালীন শক্তিশালী ক্ষমতাশীন দল বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে পরপর দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ইকবাল জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং উজিরপুর উপজেলা পর্যায়ে রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্বান্ত অনুযায়ী বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশনায় নৌকা প্রতিকের মনোনীত প্রার্থী হয়ে তৎকালীন উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ মাজেদ তালুকদার মন্নান মাষ্টারকে হারিয়ে ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগের অবস্থান শক্তিশালী করলে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মাঝে আস্থার স্থান দখল করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ইকবাল।
এছাড়াও আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ২০১৪ সালে বিএনপি জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস মোকাবেলায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংহত করেছেন ফলে
এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ওয়ার্ড থেকে গ্রাম পর্যায়ে নেতা কর্মির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে এক সেতুবন্ধন তৈরি হয় তার সাথে, আর সেই সব সাধারণ মানুষ এখন হাফিজুর রহমান ইকবালের পক্ষে প্রচার প্রচারনায় নিরলস কাজ করছে।
বরাকোঠা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলম হাওলাদার বলেন ধারাবাহিক রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হাফিজুর রহমান ইকবাল উজিরপুর আওয়ামী রাজনীতিতে ত্যাগী নেতা হিসেবে সাক্ষর রেখেছেন তাই তাকে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করে সন্মানিত করার আহবান জানান।
শোলক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ চলায় ইকবাল ভাইয়ের অবদানের প্রতিদানে তাকে উজিরপুর আওয়ামী রাজনীতিতে সন্মানিত করা উচিত, তাই আগামী নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইকবালের পক্ষে কাজ করার অনুরোধ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, জল্লা ইউনিয়ন যুবলীগ সহ সভাপতি অলোক হালদার, হারতা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি পরিমল, গুঠিয়া ইউপি সদস্য নান্না হাওলাদার, উজিরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মামুন সাবেক কাউন্সিলর সুরাইয়া বীনা, সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সংগঠনের একাধিক নেতা কর্মি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অথবা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হাফিজুর রহমান ইকবালের নেতৃত্বে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল বলেন ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামীলীগের কর্মি হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গের রাজনৈতিক অভিবাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে দলকে সুসংগঠিত করে জনগণের রায়ে একাধিক বার জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি এবারে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ জনগনের ভালোবাসা ও দলীয় নেতা কর্মির সমর্থন মূল্যায়নে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি গ্রহন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বিজয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী ইকবাল।
উল্লেখ্য আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।