36 বার পঠিত
ঐতিহ্য সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর মা ইলিশ ও অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ৩ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকে শেষ হচ্ছে। এ লক্ষে উপকুলীয় অঞ্চল সরেজমিনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে,শরণখোলা, পিরোজপুর জেলার পারের হাট, তুষখালি ও বরগুণা জেলার চরদোয়ানী, পাথরঘাটা সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার জেলে শত শত ফিসিং ট্রলার নিয়ে নদী ও সাগরে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।
১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মা ইলিশের নির্বিগ্নে প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠছে আজ রবিবার (৩নভেম্বর)। সোমবার থেকে দেশের সকল নদ-নদী ও সাগরে আবার শুরু হবে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের মহোৎসব। এছাড়া ৬৫ দিন ও ২২ দিনের অবেরাধ ও ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও ডানার কারনে এ বছর জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সুবিধা করতে না পারায় লক্ষ লক্ষ টাকা লোকশানের মধ্যে পড়েছে। এজন্য তাদে মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে শরণখোলা উপজেলার রাজৈর মৎস্য আড়তে ট্রলার ঘাটে অসংখ্য ট্রলারে জেলেদের জাল, তেলের ড্রাম, বরফসহ বিভিন্ন মালামাল সংগ্রহ করতে দেখা যায়। আবার কেউ কেউ মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম দাদন নিয়ে পারিবারিক বাজারে ব্যাস্ত রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, এ বছর ইলিশ আহরন মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপ বেশি থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আশাকরি ২২ দিনের অবরোধের পর আবারও জেলেরা সাগরে গিয়ে ইলিশ আহরণ করতে পারলে ক্ষতি কিছুটা পুশিয়ে উঠতে পারবে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহের নের্তৃত্বে সেনাবাহীনি, নৌপুলিশ, আনসার ও উপজেলা টাক্সফোর্স কমিটির সদস্যদের নিয়ে নদী ও সাগরে টহল জোরদাড় করা হয়েছে। এছাড়া অবরোধকালীন সময় জেলেদের সরকারী চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।