71 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সাদ্দাম হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, মারধরের শিকার আব্দুল হাফিজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রাত সাড়ে ৭টায় তিনি সাদ্দাম হোসেন হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে ছিলেন। তখন কিছু শিক্ষার্থী তাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করে তর্কাতর্কি শুরু করে।
এক পর্যায়ে হাফিজ হলের বাইরে আসার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে ধাওয়া করেন। হাফিজ ফুটবল মাঠ পার হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় আশ্রয় নেন।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী, আল ফিকাহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব, এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট প্রমুখের উপস্থিতিতে থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল হাফিজ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান আমাকে সন্দেহ করে সবাই আমার ওপর চড়াও হয়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই আমাকে মারধর করে। তবে আমি ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, “এটি থানার কোনো বিষয় নয়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী থানায় আশ্রয় নেয়, পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মীমাংসা করে চলে যান। এটা থানার কোনো ফাংশন না।”