1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
আমার স্বামীই হারুন স্যারকে আগে মারধর করেছে : এডিসি সানজিদা - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দল নেতাদের বৈঠক আজ পুলিশের ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের বিচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে এ কথা আমি বলিনি: আইন উপদেষ্টা সাগরে লঘুচাপ, রুপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে:জামায়াত নেতা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড থেকে সাকিব বাদ পূর্নিমার জো’য়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি,ভোগান্তিতে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা ও সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। নির্বাচন কবে জানালেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে হিট অফিসার বুশরাকে পিতা আতিক মাসে বেতন দিত ৮ লাখ টাকা

আমার স্বামীই হারুন স্যারকে আগে মারধর করেছে : এডিসি সানজিদা

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 157 বার পঠিত

শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী এডিসি সানজিদা। তিনি বলেন, আমার স্বামী ছোট একটি বিষয়কে বড় করে তোলেন। হারুন স্যারকে আমার স্বামী আগে মারধর করেছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

সানজিদা আফরিন আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। তিনি ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

সানজিদা আফরিন সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বেশ কয়েকদিন ধরে সিভিয়ার চেস্ট পেইনে (বুকে মারাত্মক ব্যথা) ভুগছিলাম। সেদিন পেইনটা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছিল। তাই তখন আমার একজন ডাক্তার দেখানোর দরকার ছিল। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল স্যারের (এডিসি হারুন) জুরিসডিকশনের (আওতা) মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

‘স্যারকে জানালে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঠিক আছে আমি আশেপাশে আছি। আমি এসে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে দিচ্ছি। এরপর স্যার এলেন। আসার পর একটা ডাক্তার ম্যানেজ হলো। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। আমি ব্লাড টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম। ইকো টেস্ট আর ইসিজি করানো হলো।’

সানজিদা বলেন, এই ঘটনার সময় আমি যে রুমে ইটিটি করানো হয় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। প্রথম যে সাউন্ডটা (শব্দটা) কানে আসে যে স্যারই (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন—‘ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’। আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে ঝামেলা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজবেন্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।

‘ওই সময় স্যার নিজের সেফটির (নিরাপত্তার) জন্য আমি যেখানে দাঁড়ানো ছিলাম সেই রুমের কোণার দিকে দৌঁড়ে এসে দাঁড়ালেন। ইটিটি রুমে এত লোক ঢোকাতে তখন সেখানে একটা অকওয়ার্ড সিচুয়েশন (বিব্রতকর পরিস্থিতি) তৈরি হয়। কারণ ইটিটি রুমে রেস্ট্রিকশন (কড়াকড়ি) থাকে। তখন আমি শাউট করছিলাম।’

সানজিদা বলেন, এরপর আমার হাজবেন্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর’। এরপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজবেন্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। এরপর যারা ভিডিও করছে আমি তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমার হাতেও সামান্য ব্যথা পাই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর আমার হাজবেন্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।

‘সেই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও এলেন। এর ১০-১৫ মিনিট পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়’ যোগ করেন সানজিদা আফরিন।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park