47 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোন লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে শহরে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয় সারজিস আলম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আর যদি আমার কোন ভাই বা আমার কোন বোন আমাদের ওই সীমান্তে তাঁরকাটায় লাশ ঝুলে থাকে তাহলে কাঁটাতারকে লক্ষ্য করে আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মত লং মার্চ করা হবে। আর যদি পরবর্তীতে আমাদের সেই মার্চ তাঁরকাটাকে উদ্দেশ্য করে হয় তাহলে আমাদের লক্ষ্য তাঁরকাটাকে ভেদ করে যতদুর দৃষ্টি যায় ততদুর যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তাঁরকাটা দেয়ার নামে জোড় করে বাঁধা দেয়ার জন্য যে প্রয়াস তা রুখে দেয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্পুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে, সেই ছাত্র জনতা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নিবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোন দেশের দালাল হোন তাহলে তাদের পরিনতি খুনি হাসিনার মতো হবে।
লং মার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নাম করণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও কুড়িগ্রামের চরের জীবন জীবিকা উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান সারজিস আলম।
লং মার্চ সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রামের জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিযনের নাখারগন্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে শেষ হয়।
লং মার্চে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দিন টাটোয়ারী, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। লং মার্চে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
লং মার্চ শেষে নাগেশ্বরীর নাখারগন্জ বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।