175 বার পঠিত
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়াইরশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত কোমল মতি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফিসের কথা বলে প্রধান শিক্ষিকা টাকা নেওয়ার পরেও সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
কোমল মতি শিশুরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন বাড়ি থেকে কাগজ নিয়ে এসে সেই কাগজে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদরপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দেশেরকথা”র সদরপুর উপজেলা প্রতিনিধি শিমুল তালুকদার,মঈলবার ২১ জুন সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমান পান।
এসময় উপস্থিত পরিক্ষারত সকল ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক গন ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। পরীক্ষার ফি নিয়ে বাড়ি থেকে পরিক্ষার খাতা নিয়ে আসতে বলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। তাঁরা বলেন যদি বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয় তাহলে পরীক্ষার ফি নেওয়া হোল কেন।এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আয়শা সিদ্দিকার কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি পরিক্ষার ফি নেওয়ার বিষয়টি শিকার করেন,তবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কেন বাড়ি থেকে পরিক্ষার খাতা নিয়ে এসে পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে তার কোন উত্তর দেননি।
এই ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মালেক মিয়া কে অবগত করা হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান, পরীক্ষার জন্য টাকা নিলে বাচ্চাদের বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে এসে পরীক্ষা দেওয়ার কথা নয়। তিনি আরো জানান, যে সমস্থ্য বিদ্যলয়ে ব্লাক বোর্ডে প্রশ্ন লিখে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে এসে পরীক্ষা দিবে।
কোন টাকা নেওয়া যাবেনা। কিন্তু যদি পরীক্ষার জন্য ফি নেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে আসতে বলা বেআইনি। কোন বিদ্যালয়ে এ ধরনের কার্যকলাপ হলে অবশ্ব্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে নিজ ইচ্ছাখুসি মতো বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার কারনে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া সত্বেও কিছু শিক্ষকদের সেচ্চাচারিতা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উদাসিনতার কারনে বাচ্চাদের লেখাপড়া চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান অনেক অভিভাবক।
কিছু অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন,আড়াইরশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণের বাড়ি বিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকার কারনে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছা খুসি মতো বিদ্যালয়ে পাঠদান করলেও দেখার কেউ নেই।
যে কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখি হচ্ছে বলেও জানান অনেকে।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে গণমুখি করতে বিদ্যালয় থেকে সকল প্রকার অনিয়ম এবং দূর্নিতী বন্ধ করা হোক এমুনটাই প্রত্যাসা এলাকাবাসীর।