191 বার পঠিত
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি>বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক ইউপি বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের কথা বলে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।অভি্যুক্ত ব্যাক্তি উপজেলার ৩ নং পুটিখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ হাওলাদার।
অভিযোগের ব্যাপারে ভুক্তভুগী মোঃ হারুনুর রশিদ খানের ভাষ্যমতে অভি্যুক্ত মাসুদ দুর্দান্ত চিটার ও প্রতারক প্রকৃতির লোক। তার খালাতো ভাই মোঃ শহীদ হাওলাদারের মাধ্যমে আমার সাথে মাসুদের পরিচয় হয়। যার সূত্র ধরে আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধনের প্রয়োজন হলে শহীদ আমাকে ইউপি সদস্য মাসুদের কাছে নিয়া যায় এবং বলে আমি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধন করে দিতে পারবো। এই কথা বলে মাসুদ আমাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে নিবার্চন অফিস হইতে বের হয়ে মাসুদ আমাকে বলে যে, জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধন করতে হলে নিবার্চন অফিসে খরচ বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। নিবার্চন অফিসে কম টাকায় কাজ করেনা। ওর কথা মত আমি রমজানের ঈদের পর অফিস খুললে মোরেলগঞ্জ বাজারে মধ্যে চায়ের দোকানে বসে মাসুদ মেম্বারকে নগদ ৫০,০০০ টাকা দেই।
টাকা নেওয়ার তিন দিন পর মেম্বর মাসুদ বলে যে, আর ও বিশ টাকা লাগবে অফিসার মানতে চায় না।এ সময় তিনি বলেন স্যার ঢাকা যাবে তাকে টাকা দিতে হবে। আমি অনুপায় হইয়া আমার বউয়ের স্বর্ন বিক্রি করিয়া গত ২৪ মে ২০২২ তারিখ আমার বিকাশের মাধ্যমে ১৫,০০০ হাজার টাকা মাসুদের বিকাশে দেই ।
পরে আমার কাজ হয়ে যাবে বলে দফায় দফায় বিকাশে আরো পয়তাল্লিশ হাজার টাকা নেয়।বিকাশের টাকা আমি আমার বিকাশ নাম্বার থেকে মাসুদের বিকাশ নাম্বারে পাঠাই। মাসুদ আমার নিকট হইতে সর্বমোট এক লক্ষ টাকা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধন করার জন্য নিয়া প্রতারনার মাধ্যমে আমার টাকা আত্বসাৎ করে। মেম্বার মাসুদের কাছে আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধনের বাবদ নেওয়া এক লক্ষ টাকা চাইলে মাসুদ ভূয়া এস এম এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার ইসি বাংলাদেশ লিখিয়া মেসেজ দেয় যার মোবাইল নম্বর ০১৯৯৮৫৫৭৫৫৫।
পরে আমি নির্বাচন অফিসে গিয়া সেই মেসেজ দেখাইলে নির্বাচন অফিসার জানায় যে এই মেসেজ আমাদের অফিসের না। আপনার কার্ডের ভূল সংশোধন হবে না।এ ব্যাপারে অভি্যুক্ত ইউপি সদস্য মাসুদের সাথে কথা হলে তিনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন তিনি তার কাজ করতে পারেন নি তাই কয়েকদিনের মধ্যেই তার পুরো টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আর্থিক লেনদেনের বিষয় তিনি কিছু জানেন না,ভুক্তভোগী হারুন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আমার কাছে আসলে আমি যাচাই-বাছাই শেষে তার পরিচয় পত্র সংশোধন হবে না বলে তাকে জানিয়ে দেই,এ ব্যাপারে অভি্যুক্ত ইউপি সদস্য মাসুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।