191 বার পঠিত
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের প্রভাব পড়েছে দুইশ’ বছরের প্রাচীণ দুধের বাজারে। দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় দইসহ রকমারী মিষ্টান্ন সামগ্রী তৈরীর কারখানাগুলোতে উৎপাদন একেবারেই কমে গেছে। তাই এরইমধ্যে স্থানীয় বাজারে দুধের দাম কেজি প্রতি অর্ধেকে নেমেছে। ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার খামারীরা।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) অবরোধের তৃতীয় দিনে শহরের রেজিস্ট্রি অফিস ও পৌর শিশু পার্কে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী দুধের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, এই উপজেলার ২শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ দুধের বাজারে গড়ে প্রতিদিন প্রায় চারশ’ মণের অধিক দুধ বিক্রি হয়ে থাকে। শেরপুর, ধুনট, নন্দীগ্রাম এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার উল্লাপাড়া থেকেও খামারী ও ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা নিয়মিত এখানে দুধ বিক্রি করতে আসেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক দই মিষ্টির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫-৩০টি কারখানায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দই তৈরি করা হয়। রয়েছে বড় ধরনের বেশ কয়েকটি হোটেলও। এছাড়া স্পেশাল, সাধারণ, পাতলা দইয়ের জন্য খ্যাত এ উপজেলা। পাশাপাশি তৈরি করা হয় নানা ধরনের মিষ্টান্ন সামগ্রী। যা চলে যায় সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব কারণে এই উপজেলায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে দুধের চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে বিক্রেতা, ব্যাপারী ও খামারীরা দুধের আমদানী ঘটিয়ে থাকেন। অন্য বাজারের চেয়ে এখানে দামও ভাল পান তারা। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে টানা তিনদিন ধরে দুধের বাজার পড়ে গেছে।
একাধিক দুধ বিক্রেতা জানান, অবরোধের কারণে দই ও মিষ্টির ব্যবসায়ীরা উৎপাদন অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। আগের মত আর দুধ কিনছেন না তারা।
গত সোমবার ( ৩০ অক্টোবর) প্রতি কেজি দুধ ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তারা। কিন্তু মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে অবরোধ শুরু হওয়ায় একই দুধ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এই দর নেমে আসে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। এভাবে অবরোধ চলতে থাকলে দুধের বাজার কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।