47 বার পঠিত
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঝড়ো হাওয়া ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলার ডুব্রি ঘটনায় আজ ২২ জেলের জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজমারা আমতলী ঘাটের বোট মালিক লুৎফুল্লাহিল নিশান।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আমতলীর কামরুল মাঝির ডুবে যাওয়া বোটের ১০ জন মাঝিমাল্লাকে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উদ্ধার করে স্থানীয় পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারদের মধ্যে রয়েছে মো.রাশেদ মাঝি,মো.কামরুল কোম্পানী, মো.আজমির,মো.শরীকদার শরীফ, নাহিদ, বেলাল, বাবুর্চি শরীফ, ইরাক, নাঈম মেস্ত্রী ও মামুন। এরা প্রত্যেকে জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া আমতলী ঘাটের এনাম চৌধুরী জানান, হাতিয়া উপজেলা দমার চরে ভেসে আসা ১২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। উদ্ধার হওয়া জেলেরা আমতলী ঘাটের ডুবে যাওয়া রহিম মাঝির বোটের। তবে ৩ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়। উদ্ধার হওয়া জেলেকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
নিঝুমদ্বীপের মেহেরাজ মাঝির ডুবে যাওয়া ট্রলারের সবাই উদ্ধার হলেও রহিম নামের এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান স্থানীয় সাহেদ মেম্বার।
উল্লেখ্য শুক্রবার সারাদিন ঝড়ো হাওয়ায়
হাতিয়ার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ ছিলেন। কোস্টগার্ড ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রায় ৩০ জন মাঝি ও জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো কিছু নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চলছে। উত্তাল সাগরের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে, তবে স্থানীয় ট্রলারগুলো উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করছে।
হাতিয়ার আমতলী ঘাট, নিঝুমদ্বীপ, বুড়িরদোনা ঘাট, দানার দোল ঘাট ও বাংলা বাজার ঘাটের দূরবর্তী মেঘনার কয়েকটি স্থানে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা জানান, আমতলী ঘাটের ৩ জন ও নিঝুমদ্বীপে ১ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়াও নিঝুমদ্বীপে ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে ৩ টি উদ্ধার হয়েছে।