191 বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি>হবিগঞ্জের সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সুকড়িপাড়া গ্রামে মিষ্টির সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে মা ও কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে লম্পট জসিম (৩০) কে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
শুধু তাই নয়, ধর্ষিতা কিশোরীকে দেখতে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাফরোজা আক্তার শিমুল, ওসি (তদন্ত) বদিউজ্জমান ও এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএম, বিপিএম। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মমিনুল ইসলাম নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাবার সময় জসিমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই আলা উদ্দিন বাদি হয়ে গত শুক্রবার সদর থানায় জসিমকে আসামি করে মামলা করেন ওই কিশোরী ও তার পিতা, তারা নোয়াখালীর পশুরহাটের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে ২শ শতক জায়গা কিনে বসবাস করে আসছেন। তার কিশোরী কন্যার ওপর কুনজর পড়ে একই গ্রামের আকবর আলীর পুত্র লম্পট জসিম (৩০) এর। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে তাদের বাড়িতে এসে রুহুল আমিন, তার স্ত্রী রহিমা ও কিশোরী কন্যাকে মিষ্টি খেতে দেয় জসিম মিষ্টি খাওয়ার পর তারা কিছু বলতে পারে না।
সকালে উঠে ওই কিশোরী দেখে তার পরণের কাপড়ছোপড় খোলা এবং তার মাও বিবস্ত্র অবস্থায় রয়েছে কিন্তু জসিম নেই বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরের দিকে জসিম ওই কিশোরীকে ২শ টাকা দেয় গোপন রাখতে এবং চিকিৎসা করাতে। যদি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে তবে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিকালের দিকে তার মার জ্ঞান ফিরে না এলে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা ওই কিশোরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বর্তমানেও ওই কিশোরী সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে মুমূর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে জসিম স্বীকার করেছে শুধুমাত্র কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে তার মাকে নয় তবে কিশোরীর বক্তব্য তার মাকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করছে কিশোরী সুস্থ হবার পর আদালতে জবানবন্দি দিবে এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দির জন্য প্রেরণ করা হবে জসিমকে গত শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।