181 বার পঠিত
জামালপুরের শরিফপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের সাংবাদিকের বাড়ি থেকে বুধবার (১১ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৮টার সময় সিসিটিভি ক্যামেরা চুরি হয়েছে।
জানা যায়, সাংবাদিক শাহ্ আলী বাচ্চু শারিরীক অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যায়। ঘটনার দিন সাংবাদিকসহ তার স্ত্রী ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে এবং দূর্বত্তরা বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে যায়। ক্যামেরা চুরি যাওয়ার আগে ১৫/২০ জন লোক সাংবাদিকের বাড়ির সামনের রাস্তায় হইহট্টগোল করে এবং ঘরে ঢিল ছুড়তে ছুড়তে রাস্তা অতিক্রম করে। হইহুলার ফুটেজ সিসিটিভিতে আছে। এব্যাপারে রাতেই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম ও ইউনিয়ন পুলিশ বিড অফিসার আনোয়ার হোসেন (এস আই) কে মোটোফোনে জানানো হয়েছে।
নাম না বলা শর্তে ওই গ্রামের একজন জানান, হাজীর বাজার মোড়ে দূর্বত্তেরা জমায়েত হয়ে মমিনুরের দোকানে দরজায় লাথি মারে এবং সাংবাদিক শাহ্ আলী বাচ্চুসহ তার পরিবারের এবং তার চাচাতো ভাই আনোয়ার, ভাতিজা উজ্জ্বল, আলহাস ও সাংবাদিকের ভারাটিয়া দোকান মালিক মমিনুর কে সহ প্রাণ নাশের হুমকি ও এদের সাথে নাশতার করার পরিকল্পনা করে। দূর্বত্তদের ভয়ে অসহায় পরিবারবর্গ আতংকে আছেন।
উল্লেখ্য যে, এক বছর পূর্বে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে শেক ফরিদ নামের একজন ব্যাক্তি অবৈধ ভাবে ব্যান্ডোল বিহীন বিডি বিক্রয় করে আসছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এই সংবাদ স্থানীয়, জাতীয় দৈনিক সহ অনলাইন পত্রিকা সংবাদ ছাপানো হয়। মের্সাস বুলেট বিড়ির ফ্যাক্টরীর মালিক শেখ ফরিদ সাংবাদিক শাহ্ আলী বাচ্চুকে সন্দেহ করে গত ১০সেপ্টেম্বার ২০২২ ইং তারিখে তার সংবদ্ধ দলবল নিয়ে
সাংবাদিক শাহ্ আলী বাচ্চুর বাড়িতে হামলা করে সাংবাদিক কে না পেয়ে তার চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেনের দোকান ভাংচুর করে। আনোয়ার প্রাণের ভয়ে দোকান রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ফরিদ গংরা তার উপর আক্রমণ করে মারাত্মক ভাবে জখম করে ।
রাস্তায় ফরিদ গংরা ফেলে রেখে চলে গেলে আনোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানা একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। এ ঘটনার আগে থেকেই সাংবাদিক ও তার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ফরিদ গং দের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক এর পুত্র মেহেদি হাসান কনক জামালপুর সদর থানায় বাদী হয়ে দুটি সাধারণ ডাইরি করেন যাহার নং ১৫০২ তাং ২৬/৭/২০২২ইং ও ৪৫০ তাং ০৭/০৯/২০২২ইং। এছাড়াও সাংবাদিকের ছেলের স্ত্রী বাদী হয়ে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যাহার সি আর নং-৫৪১(১)২২।
আনোয়ার হোসেন ও আলহাস দূর্বত্তদের নাশকতার বিরুদ্ধে সময় টিভিতে সাক্ষাকার দিলে পরদিন বুধবার (গত ১২ এপ্রিল) তাদের দুজনকে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের হাজীর বাজার মোডে উৎপেতে থাকা ১৫/২০ জনে তাদের কে এলোপাতাড়ি মারধোর করে। আনোয়ার ও আলহাসকে গুরুতর
আহত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং ৫১/৩২৬সহ তাং১৩/৪/২৩ইং।
বিজ্ঞ নিন্ম আদালতে গত ১১ অক্টোবর মামলার একাধিক আসামি জামিন পেয়ে এ তান্ডব চালায়।