1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
শেখ হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন শেখ মুজিব - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ইন্টারপোলে হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন ১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে মেটা ৪ বিয়ে করে বিপদে বৃদ্ধ, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখোমুখি সুন্দরবনের উপকূলে পানি সংকটে ধানের মাঠ শুন্য, খাল ভরাটে বোরো চাষে বিপর্যয়    উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত বরিশালবাসী, চীনের দেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশালে হলে উপকৃত হবে ২২ জেলার  মানুষ  ঝালকাঠিতে কেন্দ্র সচিবসহ ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি, ১২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার  কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  ঝালকাঠিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১৩ রাজাপুরে উফশি আউশ চাষে ১হাজার ৯৫০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে প্রবাসীরা

শেখ হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন শেখ মুজিব

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশ রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

 56 বার পঠিত

চব্বিশের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার মতোই একাত্তরের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই অনুষ্ঠানে শারমিন আহমদ বলেন, ২৫ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে শেখ মুজিব তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। ওই রাতে হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় রেখে উনি (শেখ মুজিব) পালিয়ে গেলেন। সেই রাতে তিনি তাজউদ্দিন আহমদকে বলে গেলেন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও, পরশু হরতাল ডেকেছি। এখনো খোঁজ করলে সেই হরতালের পোস্টারগুলোও পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এই হরতালের ঘোষণা তিনি যখন দিলেন তখন অলরেডি আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্র্যাকডাউন হবে। এই খবরটি কিন্তু তখন ফাঁস। শেখ মুজিব কিন্তু এর সবকিছুই জানতেন। তারপরও তিনি নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মুখে রেখে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দিলেন না। তিনি একবারও বলেননি তোমরা সরকার গঠন করো, শুধু তাই নয়- তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাটুকুও দিলেন না।

শারমিন আহমদ আরও বলেন, সেই রাতে বাবার সঙ্গে শেখ মুজিবের অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন। আপনি তো কোনো নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে না’। কিন্তু বাবার এসব কথা শুনে উনি শুধু বললেন ‘তোমরা যা করার করবে’। তখন বাবা বলেছিলেন, আপনি কী কোনো বৈঠক করে বলে দিয়েছেন যে, আপনার পরে চেইন অব কমান্ড কী হবে?

তিনি বলেন, যার ফলে এসব নিয়ে বিশাল একটা বিভক্তি আছে। এবং ওই রাতে আমার বাবা যখন উদভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন তখন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এসে বললেন, ‘তাজউদ্দিন ভাই আমি তো মুজিব ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আসবেন না। উনি তো গোসল করে পরিপাটি হয়ে গ্রেফতার হওয়ার জন্য রেডি’।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চাপা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তাজউদ্দীন কন্যা বলেন, এমন অনেক কথা আছে যেগুলো বের হয়ে আসবে বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল এতোকাল। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাদ দিয়ে তারা লাফ দিয়ে ওই ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ করে ওনারা চলে গেছেন ৭২- এর দিকে। এটা তো ভয়াবহ।

প্রসঙ্গত, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। বঙ্গতাজের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার দাবি করেছেন, চার নেতার পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন হাসিনা।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park