1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
শুল্ক আরোপের সীমিত প্রভাব পড়বে,বাংলাদেশ হতে পারে লাভবানও - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ইন্টারপোলে হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন ১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে মেটা ৪ বিয়ে করে বিপদে বৃদ্ধ, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখোমুখি সুন্দরবনের উপকূলে পানি সংকটে ধানের মাঠ শুন্য, খাল ভরাটে বোরো চাষে বিপর্যয়    উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত বরিশালবাসী, চীনের দেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশালে হলে উপকৃত হবে ২২ জেলার  মানুষ  ঝালকাঠিতে কেন্দ্র সচিবসহ ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি, ১২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার  কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু  ঝালকাঠিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ১৩ রাজাপুরে উফশি আউশ চাষে ১হাজার ৯৫০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে প্রবাসীরা

শুল্ক আরোপের সীমিত প্রভাব পড়বে,বাংলাদেশ হতে পারে লাভবানও

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশ রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

 24 বার পঠিত

বাণিজ্য যুদ্ধের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শুল্ক আরোপ করেছেন তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশের পোশাক খাতে। এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। এই শুল্ক কীভাবে কমানো যায় এবং এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়েও দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুনভাবে আরোপিত শুল্ক বাংলাদেশের রফতানির ওপর খুব সীমিত প্রভাব ফেলবে। এই শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশ লাভবানও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৬ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পোস্টে ড. হাবিবুর রহমান লিখেছেন, ‘আমাদের কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো বর্তমানে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি শুল্ক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও চীন, ভারত ও পাকিস্তান এখনো তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের সুবিধা পেতে পারে, তবু বাংলাদেশ এই পরিস্থিতিতে লাভবান হতে পারে।’সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সব বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর আমদানি শুল্ক হঠাৎ করেই পরিবর্তন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৭ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে এসব পণ্যে গড় শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ।

ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চীন ইতোমধ্যে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, যার ফলে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ এক নতুন রূপ নিচ্ছে।’এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে না বরং এই পরিস্থিতি থেকে আমরা লাভবানও হতে পারি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংঘাত বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করতে পারে।’পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা উৎপাদন ক্ষমতা ও দক্ষতায় আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাই তাদের নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

তবে ভারতের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘তারা একটি বাস্তব চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। যদিও তারা এখনো ব্যয়-দক্ষতার দিক থেকে বাংলাদেশের মানে পৌঁছাতে পারেনি, যদি আমরা এখন থেকেই সক্রিয় পদক্ষেপ না নিই, ভবিষ্যতে ভারত প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে।’রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) রফতানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে দুটি বৃহৎ শ্রেণির তৈরি পোশাক রফতানি করে। প্রথম শ্রেণির পণ্য, যা মোট পোশাক রফতানির ৮৫-৯০ শতাংশ, এগুলো হলো কম দামের, সাধারণ পণ্য, যেগুলোর চাহিদা মূল্য পরিবর্তনের প্রতি কম সংবেদনশীল (প্রাইস ইলাসটিসিটি< ১)। এই ধরনের পণ্য নতুন শুল্কের প্রভাব তেমনভাবে টের পাবে না, যেমনটি আমরা কোভিড-১৯ মহামারি বা ২০০৭-৮ এর বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে দেখেছি।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির পণ্য, যা ১০-১৫ শতাংশ, এগুলো তুলনামূলকভাবে দামি এবং বিলাসবহুল, যেগুলোর চাহিদা মূল্যের প্রতি সংবেদনশীল (প্রাইস ইলাসটিসিটি> ১)। এই পণ্যগুলো নতুন শুল্ক নীতির কারণে বেশি চাপে পড়তে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কার্যকর আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে, তার অনেকগুলোই শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কে আসে। এই বাণিজ্য ভারসাম্য কাজে লাগিয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছাড় বা সুবিধাপূর্ণ শর্ত দাবি করতে পারে। প্রয়োজনে, বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নিজস্ব শুল্কনীতি পুনর্বিবেচনা করতে পারে, যাতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আগে সম্পন্ন হওয়া অর্ডারগুলোর ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে কি না। সেগুলো কি নতুন শুল্কের আওতায় পড়বে, নাকি পুরনো চুক্তির অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে? এই অস্পষ্টতা আমদানি-রফতানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদি পুরনো অর্ডারগুলো ছাড় পায়, তাহলে ভবিষ্যতের বাণিজ্য সহজেই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খেয়ে নেবে।

তবে তিনি বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অবশ্যই কঠিন হবে। বাংলাদেশকে এখন সতর্ক, কৌশলী এবং দৃঢ়ভাবে আলোচনায় এগিয়ে যেতে হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park