27 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করে ফের উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘হাফিজ হটাও, ক্যাম্পাস বাঁচাও’, ‘শাস্তি না ছুটি, শাস্তি শাস্তি’, এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহসন মানি না, মানব না’—এমন নানা স্লোগান দেয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ তদন্তে ছয় মাস সময় নিয়েও কেবল এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত দিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ক্লাসে বাবা-মাকে নিয়ে গালি দেন এবং সমকামিতা প্রচার করেন। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই।”
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, “কিছু অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।”
এদিকে, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী আন্দোলনকারীদের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে, যা বহিষ্কারের সমতুল্য। তার বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। এটি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।”
পরবর্তীতে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যান। তিনি জানান, “উপাচার্যের নির্দেশনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর পাশাপাশি একটি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অনড় রয়েছে।