1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
লক্ষ্মীপুরে চরমেঘায় কৃষি বিপ্লব, সবুজের সমারোহ  - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম পাবনায় বাস-অটোভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ গেল ভ্যান চালকের গলাচিপায় কচ্ছপ পাচারের সময় ১ নারী আটক খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী   কটিয়াদীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সংবর্ধনা বিজয় দিবসে ইবি পাঠকবন্ধুর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে -শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা কিশোরগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে  বিএনপির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন  কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন গত ৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার করতে পারেনি :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

লক্ষ্মীপুরে চরমেঘায় কৃষি বিপ্লব, সবুজের সমারোহ 

মাহমুদুন্নবী সুমন
  • প্রকাশ রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

 27 বার পঠিত

লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীর পানি সরে গিয়ে জেগে উঠেছে পলিসমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ চর। এই চরগুলোতে কৃষকেরা বুনছেন রঙিন স্বপ্ন। তেমনই এক চর হলো চর মেঘা, যা কৃষিতে বিপ্লবের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

চর মেঘা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট থেকে পশ্চিমে নদীর মাঝখানে অবস্থিত। একসময় পরিত্যক্ত ও গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত এই চরটি এখন সোনালি ফসলে সমৃদ্ধ। গত দুই দশক ধরে স্থানীয় কৃষকেরা এই চরে উৎপাদন করছেন ধান, সয়াবিন, শসা, করলাসহ নানা ধরনের ফসল। বছরের ছয় মাস কৃষক ও কৃষিশ্রমিকেরা ব্যস্ত থাকেন চাষাবাদ নিয়ে।

চরের উর্বর পলিমাটিতে উৎপাদিত প্রায় ৯০ শতাংশ সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। এটি স্থানীয়দের জন্য যেমন কৃষি বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি করেছে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তবে কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ থেকে তারা কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শ পান না। এমনকি স্থানীয় কৃষি অফিস থেকেও তাদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয় না। ফসল উৎপাদন থেকে বাজারজাত পর্যন্ত তারা নিজেদের উদ্যোগে কাজ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সমস্যায় তারা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হন।

একজন স্থানীয় কৃষক জানান, “চরে ধান, সয়াবিন, শসা, করলা, লাউ, কুমড়া, চিচিঙ্গাসহ নানা জাতের সবজি চাষ করি। চাষাবাদ করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়, অথচ কোনো ঋণসুবিধা পাই না। গেল মাসে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারি সহযোগিতা দরকার।”

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ জানান, চরের প্রায় ১২,৪০২ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হচ্ছে। চরের কৃষিকে আরো গতিশীল করতে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী প্লট ও মাঠ দিবস আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সরিষা, ভুট্টা, বাদাম ও তিলের মতো সম্ভাবনাময় ফসল চাষে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চরের উর্বর মাটি কৃষির জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তবে কৃষি বিভাগ ও সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে এই চরে কৃষিতে আরও বড় বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। স্থানীয় কৃষকেরাও আশা করছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় চরের কৃষি হবে আরও সমৃদ্ধ, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park